চরিত্র :-
আপনকে দেখে পরের মত
অন্যে দরদ দেখায়,
নষ্ট-নিপট হৃদয় তাহার
ব্যর্থতাতেই ধায়। ১০৯।
জীবন যাহার বাতাসের মত
সবাইকেই পালে-পোষে,
নিষ্ঠাদীপ্ত ব্যক্তিত্ব তা’র
ঝরে নাকো আপসোসে। ১১০।
ক্ষিপ্রতায় যে দীন,
সুষ্ঠুকৰ্ম্মা হ’লেও জানিস্
ক্ষমতায় সে হীন। ১১১।
লোকপরিচর্যী স্বভাব-
সম্পদ্ তা’রে কয়,
সুব্যবস্থ পরিচর্য়্যায়
বিভব উপচয়। ১১২।
বলায় মিষ্টি, করায় খারাপ,
এইতো জানিস কূটের মাপ। ১১৩।
গরম কইলেও ভালই করে
তা’রাও সতের লক্ষণ ধরে। ১১৪।
যুক্তিযুক্ত সৎকথা কয়
হৃদ্য ব্যাভার সদ্-বিবেকী,
কাজে-কর্ম্মে শুভই করে,
সে-জন জেনো নয়কো মেকী। ১১৫।
সংগ্রহে যে ব্যর্থ সদাই
কর্তা হবার বেজায় সাধ,
বেকুব বুদ্ধি রয় সেখানে
ফেলে বেড়ায় কথার ফাঁদ। ১১৬।
ঠাণ্ডা মাথায় সবই শুনিস্
বুঝে দেখিস্ বোধের সাথে,
বাস্তবেতে যেটি মেলে
সেইটিকে তুই নিস্ রে ডেকে। ১১৭।
দীপ্তরোখা মন্দ কথায়
আচার-ব্যাভার মন্দ যেথা,
লক্ষ মধুর হোক না সে-সব
নিসনে সেটা, ধরিনে তা’। ১১৮।
শ্রেয় যেটি তা’ই বেছে নিস্
অশ্রেয় যা’ দূরেই থাক্,
সন্দীপনী শ্রেয় নিয়ে
চর্য্যাটি তোর অটুট রাখ। ১১৯।
ব্যর্থ করার স্বার্থ নিয়ে
গালবাজি আর হামবড়াই,
প্রাজ্ঞ জ্ঞানীর ঢং-বাজিতে
বল্ খাটবে কা’র দোহাই। ১২০।
ভুলভ্রান্তি মানুষেরই হয়
শুধরে যদি চলিস্ সোজা,
দীপ্তি পাবি, তৃপ্তি পাবি
হাল্কা হবে বুকের বোঝা;
অজ্ঞ হ’য়ে বিজ্ঞ ভানে
লুকিয়ে নিজের বোকা বুক,
লুকিয়ে থাকতে আর হবে না
উজল হবে কুলের মুখ। ১২১।
নিষ্ঠানিপুণ নন্দনা যা’র
অন্তরেতে পায়নি স্থান,
সাম্য-চলন কাম্য হ’য়ে
বয় না তাহার ছিন্ন প্রাণ। ১২২।
বন্দনারই স্পন্দনা তোর
হৃদয় ছেয়ে যেমন রয়,
ব্যক্তিত্বটাও সিক্ত হ’য়ে
গুণ-গরিমা তেমনি বয়। ১২৩।
সহজ মানুষ হও-
সৎ-শুভ যা’ নিভুল জানা
লোকের কাছে কও। ১২৪।
নিষ্ঠাবিহীন রতি-প্রবল
আড়ম্বরের লোক সে কেবল। ১২৫।
মানের দরদ, প্রাণের নয়,-
ব্যত্যয়ী সে, রাখিস্ ভয়। ১২৬।
তৃপ্তি তবে কোথায়?
সুখে-দুঃখে অটল চলায়
হৃদয় অটুট যেথায়। ১২৭।
অন্তরেতে আছে কথা
প্রত্যয়েতে নাই-
মানেই হ’ল, আস্থার অভাব,
সন্দেহই তা’র ঠাঁই। ১২৮।
ভয়াল যা’রা দুষ্ট যা’রা-
ইষ্টনিষ্ঠ সৎচলনে
বুক ফুলিয়ে দাঁড়ায় যদি
সম্বুদ্ধ হয় বহুৎ জনে। ১২৯।
অর্ঘ্য পাবি কত-শত
ধন্য-ধন্য করবে লোক,
ঐ তালেতে মাতিস্ নে তুই
রাখিনে কো লোভের ঝোঁক। ১৩০।
সুব্যবস্থা, সুসন্ধিৎসা
নাইকো যাহার প্রাণে,
হাতে-কলমে নিষ্পাদনা
নাইকো বুকের টানে,
কথায়-কথায় হুকুমদারী
আত্মম্ভরি সম্বাদন,
দোষদৃষ্টি যাহার কেবল
নিরীক্ষণী আলম্বন,
গণ্ডগোলের ডামাডোলে
আত্মম্ভরি গাহে জয়,
দক্ষনিপুণ পরিচর্য্যা
অন্তরেতে যাহার নয়,
বিদ্রূপাত্মক যা’র ব্যবহার
নাইকো মিষ্টি কথা,
প্রতিষ্ঠা পায় হৃদয় যাহার
দিয়ে অন্যে ব্যথা,
দেখেই বুঝিস্ সে-ব্যক্তিত্বে
ফলেই কম সুফল,
বিফল ক’রে সফল হওয়ার
ধান্ধা তা’র কেবল। ১৩১।
সৎ-শ্রম আর পরিচর্যায়
উপায় যা’দের স্বতঃই হয়,
নয়কো তা’রা শোষক কভু
পোষক-বৃত্তিই পোষণ দেয়। ১৩২।
উদ্যমে হও দুর্দ্ধর্ষ তুমি
ক্ষিপ্র-নিপুণ কাজে,
সুষ্ঠু ত্বরিত নিষ্পাদনায়
সার্থকতা রাজে। ১৩৩।
গুরুত্বেরই হয় অভিষেক
গুরুর ঝরা অংশ নিয়ে,
তৃপণদীপী শ্রেষ্ঠ ভজন
শ্রদ্ধাচর্য্যা বিভব দিয়ে। ১৩৪।
প্রেষ্ঠচর্য্যায় নিরত যা’রা
প্রেষ্ঠ-সেবায় মুগ্ধপ্রাণ,
তা’দের যদি ভাল লাগে
থেকে প্রিয়ের সন্নিধান,
স্নেহ-প্রীতি স্বার্থ-দ্যোতন
সবই যাহার প্রিয় লাগি’,
সে-মানুষটি নিরেট মানুষ
সহজ প্রেষ্ঠ-অনুরাগী। ১৩৫।
বুদ্ধি বাঁকা, আঁইট কম,
সৎ দেখালেও কুটিল দম। ১৩৬।
যেমন তালে যেমন চালে
সক্রিয়তায় দীপ্ত তুমি,
তেমনতরই সম্পদ্ তোমার
পুণ্য তোমার জীবন-ভূমি। ১৩৭।
মিষ্ট কথা শিষ্টাচারেই
ভুলিস্ না কা’রো-বন্ধু ব’লে,
তা’কেই জানিস্ বন্ধু কিন্তু
কথায়-কাজে মিলন হ’লে। ১৩৮।
একটা কথা মনে রাখিস্-
ভালই কিন্তু চায় সবাই,
স্বার্থ খুঁজি’ লোভের টানে
গায় অনেকে নিজ-সাফাই। ১৩৯।
টাকার লোভে ইষ্টসেবা
যা’রাই করে ঠিক জানিস্,
স্বতঃস্রোতা ইষ্টনেশা
নাই সেখানে ঠিক মানিস্। ১৪০।
অভাবপন্থী ভাব যাহাদের
প্রভাব তা’দের আলসে ঢোলা,
কৃতিস্রোতটি মন্দ তা’দের
গুণে তা’রা ফাঁকা খোলা। ১৪১।
ঠাকুর-দেবতার গুণরাজি তোর
চরিত্রে যেই বিকাশ পেল,
অমনি বুঝিস্, প্রাপ্তি তোমার
পায়ে-পায়ে এগিয়ে এল। ১৪২।
ঊর্জ্জী নেশা ইষ্টে যা’দের
আচার-চরিত্র ইষ্টপ্রাণ,
সন্ধিৎসাটি নিভাঁজ যেথায়
ধৃতিমুখর তা’দের টান। ১৪৩।
শিষ্টাচারে সত্তাসাধন
অস্তিপ্লাবন যা’দের প্রাণ,
যেমনতর হো’ক্ নাকো সে
অস্তিচ্যী সেই মহান্। ১৪৪।
দেশে-শুনে চৌকস হ’য়ে
দেখবি যা’ তুই সমীচীন,
চতুর চলন নিয়ে তা’কে
করিস্ ও-তুই তোর অধীন। ১৪৫।
চার আল দেখে চলে
তা’রাই চালাক সত্যিকার,
দূর-নিকটের জ্ঞান-বিভবে
তেমনি তা’দের অধিকার। ১৪৬।
ধারণ-পালন-বৃত্তি-বিভব
অন্তরে যা’র মূর্ত্তিমান,
চতুর-চালাক ধৃতি তাহার
মুগ্ধ করে সবার প্রাণ। ১৪৭।
ঊর্জ্জী-তেজা আগ্রহটি
নিষ্ঠানিপুণ যা’র যেমন,
উজিয়ে চলে কৃতির পথে
সার্থকতাও পায় তেমন। ১৪৮।
ঊর্জ্জীনাও নাই অন্তরে যা’র
উদ্যমও তা’র শিথিল তেমন,
নিষ্ঠা-সম্বেগ তেমনি তাহার
পাওয়ার পথেও তেমনি গমন। ১৪৯।
অসাম্য যা’র মনোবৃত্তি
আবেগও তেমনি অসাম্য যা’র,
বহু ভাঁওতায় ঘুরে বেড়ায়
সার্থকতা কমই যে তা’র। ১৫০।
বিবেক-বিচার জটিল যা’দের
কুটিল যা’দের স্থিতি-চলন,
ধৈর্য্যহারা স্থৈর্য্যহারা
পায় কি তা’রা সিদ্ধি কখন? ১৫১।
ভুবনভরা স্বপন দেখে
আশার আশে থাকে যা’রা,
হঠাৎ পাওয়া-বুদ্ধি তা’দের,
তেমনি তা’দের চিন্তাধারা। ১৫২।
নিষ্পাদনী সক্রিয়তায়
বুদ্ধি যা’দের টলমল,
নিজের সাথে নিজেই করে
বেকুব বুদ্ধির কতই ছল। ১৫৩।
বাস্তব জ্ঞান বহুদর্শিতায়
যা’রাই খাটো তা’রাই দীন,
সংস্কারের দৈন্য যা’দের
জন্মগত তা’রাই হীন। ১৫৪।
দ্বেষ যাহাদের মনে-
হিংসা, নিন্দা, অসূয়াতে
ধরেছে সেই জনে। ১৫৫।
বুদ্ধি যা’দের কম-
বিবেক-বিচার-কল-কৌশলে
কমই থাকে দম। ১৫৬।
স্তুতির দ্যুতি নাইকো তোমার
চাটুবাদে হবে কী!
ভাবছ করবে কিস্তিমাৎ?
ছাইয়ে তুমি ঢালু ঘি। ১৫৭।
স্বভাবটাই তো তোমার হওয়া
যেমন স্বভাব তেমনি তুমি,
তেমনতরই চলন-বলন
তেমনি তোমার চিত্তভূমি। ১৫৮।
ইয়ার্কি আর ফাজিল বকা
করায়-বলায় যে যেমন,
তা’ হ’তে তুমি বেছে নিও
অন্তরে সে লোক কেমন। ১৫৯।
ভক্তিতে যা’র ঊর্জ্জনা নেই
নাইকো কথা মিষ্টি তেজাল,
উচ্ছলিত হয় না হৃদয়-
খুঁজেই দেখ, পাবে ভেজাল। ১৬০।
নিষ্ঠানিপুণ প্রীতি যাহার
নিষ্ঠানিপুণ নিষ্পাদন,
গালগল্পও তেমনতর
নিষ্ঠাও তা’র হয় তেমন। ১৬১।
কথায় কটু, কাজে ভাল,
অনুকম্পায় অটুট রোখাল,
যেমনই হোক্ এমন জনা
ভালই করে, নয়কো বেচাল। ১৬২।
ভাগ্য যা’দের হীন-
ক্ষিপ্রকৰ্ম্মা নয়কো তা’রা
সংরক্ষণায় দীন। ১৬৩।
দুর্ভাগা যে-জন-
নাই ত্বারিত্য, নাইকো তপ
অসংরক্ষী মন। ১৬৪।
ভয়াল তা’র জীবন-
অসুস্থতায় সুস্থ ভাবে
ঔষধে নাই মন। ১৬৫।
বিকৃত সে জন-
বিধির বিকার করাই আমোদ
গর্ব্বে সম্মোহন। ১৬৬।
অর্থ আছে কোথায়?-
লোকদরদী হৃদয় নিয়ে
সত্তাচর্য্যা যেথায়। ১৬৭।
ধনী তবে কে?-
বাঁচাবাড়ার পরিচর্য্যায়
লোকস্বার্থী যে। ১৬৮।
আহাম্মক তবে কে?-
নিজ ঐশ্বর্য্যে অজান যে-জন
পরপ্রত্যাশী যে। ১৬৯।
বিদ্যে আছে কা’র?-
জানে-শোনে করে অনেক
অহঙ্কার নাই যা’র। ১৭০।
মূর্খ তবে কে?-
অল্প কিছু জেনে-শুনেও
গর্ব্বে ফাটে যে। ১৭১।
চতুর তবে কে?-
ঠিক রেখে তা’র নিজের দাঁড়া
চার আল দেখে যে। ১৭২।
চৌকস জ্ঞানী কে?-
চার আল দেখে আপন চলনায়
চ’লে থাকে যে। ১৭৩।
আপন চলন কী?-
ইষ্টনিষ্ঠা অটুট রেখে
ঠিক চলে যা’র ধী। ১৭৪।
ঠিক চলা কা’ক্ কয়-?
যেথায় যেমন চ’লে-ক’রে
কুড়িয়ে আনে জয়। ১৭৫।
ইষ্টপ্রাণ কা’ক্ কয়-?
জীবনভরা যা’র চাহিদার
মূলেই ইষ্টের জয়। ১৭৬।
বুদ্ধি যা’দের বাজে,
আগে-পাছে যা’ই বল না
করে না কিছু কাজে। ১৭৭।
আপসোসই যা’র আয়-
ভাল-মন্দ যা’ই বলুক যে
জাহান্নমেই ধায়। ১৭৮।
শিষ্ট শোধন, শিষ্ট বোধন
সৎ-সাধু যা’র হৃদয়-রাগ,
উচ্ছলায় সে দীপ্ত থাকে
নিয়ে তৃপ্ত নিষ্ঠা-ফাগ। ১৭৯।
বড়াই-দীপ্ত ফাঁকা কথায়
বাস্তবতা নাই,
কৃতিবিমুখ রাগ হ’লে তা’র
অবাস্তবেই ঠাঁই। ১৮০।
ত্বরিত চিন্তা বোধ-ত্বারিত্য
যা’র করণে ঠিক,
চিন্তা-চলন সমীচীন তা’র
বুঝে চলে সব দিক্। ১৮১।
কী হালে কী করবি কোথায়-
সে-বোধ যে রে তোর মাথায়,
সুহাল-চালের মিলন হ’লে
প্রকৃতিই তোর গাইবে জয়। ১৮২।
আমি বাঁচি, ধ্বংস হোক্ সব
ধারণা যা’র এই মনের,
হিংসা-দ্বেষ তো তখনই আসে
ক্ষতি-বুদ্ধিও সেই জনের। ১৮৩।
বাস্তবতার দৃষ্টি যা’দের
যেমন নিটোল সূক্ষ্ম হয়,
উপচয়ও তেমনি আসে
কৃতির যাগে তেমনি জয়। ১৮৪।
দান পেয়ে যে বলতে নারাজ
লুকিয়ে রাখতে চায়,
চৌর্য্যবৃত্তির রকম-ফিরতি
লুকিয়ে থাকে তা’য়। ১৮৫।
খেঁকশিয়ালের ডাকগুলিতে
রয় কি ধৃতির উছল হাওয়া?
তেমনি ডাকে দিস নে রে কান
করিস্ না ব্যর্থ জীবন-বাওয়া। ১৮৬।
অবিবেকী বিবেক যা’দের
তাচ্ছিল্যভরা মনোযোগ,
ভ্রান্তি-ধৃষ্ট করণ-কারণ
সময়-অতীত স্মৃতি-সংযোগ,-
এমনতর দেখবি যা’দের
দুর্ভোগ তা’দের পেছনে ধায়,
সার্থকতা ব্যর্থ হ’য়ে
লুটিয়ে পড়ে ধরার গায়। ১৮৭।
ব্যবস্থিতি নাইকো যা’দের
বিচারে যা’রা অপটু,
ভ্রান্তিভরা চলন-বলন
গুছিয়ে চলায় নয় পটু। ১৮৮।
ধাপ্পাদারি গালগল্পে
বাহাদুরি নেওয়া স্বভাব যা’র,
জাঁকজমক তা’র যতই থাকুক
বোধ-ব্যবহার খিন্ন তা’র। ১৮৯।
বেকুবী যা’র যেমনতর,
সতর্ক বিবেক যা’দের নাই,
ব্যবহার যা’দের নয়কো সুঠাম,
বেঘোরে পড়ে তা’রা প্রায়ই। ১৯০।
চলন-বলন হোঁৎকা যা’দের
সাহস যা’দের বোধবিহীন,
কৌশল যা’দের নয়কো কুশল
তেজাল হ’য়েও তা’রা দীন। ১৯১।
ভালমন্দের নাইকো বিচার
বাস্তবতার ধারে না ধার,
ভাল করতে মন্দ ফলে
নাকাল হওয়াই তা’দের সার। ১৯২।
ব্যতিক্রমী বুদ্ধি যা’দের
চলন-ভড়ং বেশ উদার,
অস্তিনিষ্ঠ সত্তাবিবেক
রয় কি কভু ব্যক্তিত্বে তা’র? ১৯৩।
আত্মশ্লাঘী নিষ্ঠা-ভড়ং
তপশ্চর্য্যা যদিও নাই,
প্রাপ্তি-লোভে ঘুরে বেড়ায়
ভাগাড়েতেই তা’দের ঠাঁই। ১৯৪।
নাইকো নিষ্ঠা, পরিচর্যা
ক্রিয়া-কাণ্ড নাইকো চলন,
ব্যবহার-জ্ঞান নাইকো যাহার
যুক্ত কভু নয়কো সে-জন। ১৯৫।
অবাস্তবের ধুয়ো ধ’রে
বিজ্ঞ চলায় নিশিদিন,
যা’রাই চলে-মরে মারে
প্রবৃত্তিরই হ’য়ে অধীন। ১৯৬।
অন্তরেতে যা’ তুমি রও
বোধ-ব্যাভারও সেই মতন,
অনুশীলনে শিষ্ট ক’রে
করবেই তা’র সুবর্দ্ধন। ১৯৭।✅
10