চরিত্র :-
চিন্তা-চলন যেমন
চরিত্রও তেমন। ১।
বৈশিষ্ট্য যা’র যেমন
ব্যক্তিত্বও তা’র তেমন। ২।
রকম, সকম, হাল,
দেখে হ’বি ওয়াকিবহাল। ৩।
মুখমিষ্টি অসৎ-ব্যাভার,
শয়তানেরই অবতার। ৪।
মূর্খ তা’রা ক্ষতিপ্রবণ
এই ধরণীতলে,
বেফাঁস কথা বলে যা’রা
বেঢক চলায় চলে। ৫।
মুক্ত-চলন যা’র যেমন
চরিত্রও তা’র তেমন। ৬।
যেমন ধর, যেমন কর,
নিষ্ঠাচলন যে-প্রকার,
সেইটিই তো জানিয়ে দেয়
জন্মগত অধিকার;
খাঁকতি কিংবা বাড়তি কোথায়,
পেতে পার কেমন কী,
সত্তাগত জন্ম তোমার
জন্মগত কেমন ধী! ৭।
চিন্তা-মতন চলন ফোটে,
চলন-তালে কথা,
এই তিনই বেমিছিল যা’র
সততা তা’র বৃথা। ৮।
ক্রোধ না বেড়ে-রোখ বাড়ে যা’র
সৎসন্দীপী হ’য়ে,
নাছোড়বান্দা সে মানুষটি
শুভয় চলে ব’য়ে। ৯।
(আমার) চিত্ত-চলন কৰ্ম্মদীপন
শক্তি-স্বস্তি নিয়ে,
শিবসুন্দরে সার্থক হো’ক্
সব তোমাকেই দিয়ে। ১০।
নিষ্ঠাবিহীন শ্রদ্ধাহারা
অব্যবস্থ চিত্ত যা’র,
ব্যক্তিত্বটি ছেদ্য তাহার
আস্থা কিন্তু করিস্ না তা’র। ১১।
মন্ত্রগুপ্তি নেইকো যাহার
বিশ্বস্ততায় খর্ব্ব যে,
তা’রেও আস্থা করা কঠিন
সরল ছোবল দেবেই সে। ১২।
গুপ্তকথা যে-জন তোমার
অন্যায্যতায় ফাঁসিয়ে দেয়,
হোক্ না কেন বিশাল বন্ধু
সুবিধা পেলেই সুযোগ নেয়। ১৩।
আদরভরা শুভ যেথায়
চলা-বলা-অনুচর্য্যায়,
শিবসুন্দর সেই ব্যক্তিত্বে
ততদিনই র’ন বজায়। ১৪।
আনুগত্য নাইকো তোমার
সমবেদনা দিশেহারা,
প্রতিষ্ঠা তুই পাবি কোথায়?
অন্তরই যে ছন্নছাড়া। ১৫।
বৃত্তি-বেকুব শুকনোমুখী
সুখেও কষ্ট পায়,
শ্রেয়-নতি-হারা হ’য়ে
অধঃপাতেই যায়। ১৬।
উত্তেজনায় অনাহুত
গুণ-গরিমা নিজের গায়,
যেমন-তেমন হোক্ না সে-জন
দোষের চলন তা’রই পায়। ১৭।
বিদ্যাবান্ আর শ্রেষ্ঠ যা’রা
যেই না ঐক্য হারালো,
ঐটি জানিস্ কূট-কুলক্ষণ
জাহান্নমের পথ হ’ল। ১৮।
নিষ্ঠা-রাতুল পরাক্রমে
উজ্জীতেজা যা’রাই নয়,
সংহতিতে ছিন্ন তা’রা
পদে-পদে তা’দের ভয়। ১৯।
ইষ্টনিষ্ঠ ধূর্ত্ত-চতুর
কল্যাণকৃৎ যা’রাই হয়,
লোকসম্পদ বাড়েই তা’দের
ভাগ্য তা’দের গায়ই জয়। ২০।
ইষ্টনিষ্ঠ ধৰ্ম্ম-নিদেশ
চরিত্রে যা’র মূর্ত হয়,
সেই তো সাধু সৎ-বিবেকী
আচরণে অটুট রয়। ২১।
ইষ্টার্থ-দীপনী মন যাহাদের
সহজ দীপনায় বয় না,
বিধান তা’দের কৃতি-সার্থক
একস্রোতা হয় না। ২২।
কথায়-কাজে মিল আর
কুশল ব্যবস্থিতি,
ঐ তো সাক্ষী চরিত্রের
কেমন অবস্থিতি। ২৩।
বীর্য্যবত্তা সাহস কথায়
অযথা যা’রা গল্প করে,
কাপুরুষতা জেনে রাখিস্
তা’দের কিন্তু আছেই ধ’রে। ২৪।
কৃতী যা’রা সাহসী যা’রা
নিজের কথা কমই জানায়,
ন্যায়পরতা, সাহস-কথা
পরিবেশ তো আপনিই গায়। ২৫।
ধারণা নিয়েই চলতে থাকে যাঁরা
বাস্তবতার পরিচিতিই কম,
পদে-পদে ঠ’কেই চলে তা’রা
ভ্রান্তি তা’দের হ’য়েই ওঠে যম। ২৬।
গালি-মন্দ ভর্ৎসনারই
আশিস-বরে যা’রা-
বরেণ্যতে বৃদ্ধি পায়নি
শুভপ্রসূ জ্ঞানদৃষ্টি নিয়ে,
মাণিক নিয়ে যতই বেড়াক
করুক বড়াই তা’রই দোহাই দিয়ে,
অজ্ঞতাতে ঝাপসা তা’দের আঁখি
মিথ্যাই শুধু দেখে জগৎভরা। ২৭।
ইষ্টনিষ্ঠা, অনুরাগ,
কৃতি, বীর্য্য, পরাক্রমে,
ভাববৃত্তি রঞ্জিত যা’র
গতিই তা’র পুরুষোত্তমে। ২৮।
যদি হৃদয় ভ’রে উচ্ছলাই
ওজোদীপ্ত রইল না,
(তবে) নিছক জানিস্ নিষ্ঠাপ্রীতি
ঊজ্জনাকে বইল না। ২৯।
চাওয়া আছে
নিষ্ঠা নাই,
ঘুরে বেড়ায়
ঠাঁই-ঠাঁই। ৩০।
অসৎ কথা, দুর্ব্যবহার,
অসৎ-নিষ্ঠা প্রবৃত্তি,
আদত মিথ্যা জেনে রাখিস্
বৃদ্ধিই পায় তা’য় কুবৃত্তি। ৩১।
বড় লোক বা বড় প্রাণ-
দেখবি আছে তা’দের সাথে,
লোককে বড় করার চলন
সকল কাজে-চিন্তাতে। ৩২।
সব-কিছুতেই সঙ্গতি রেখো
চিন্তা রেখো সঙ্গতিশীল,
নিষ্পন্নতায় নিপুণ হ’য়ে
কথায়-কাজে রেখো মিল। ৩৩।
দিয়ে যা’রা ধন্য হয়
কৃতির তৃপণায়,
তা’রাই জানিস্ শ্রেয় মানুষ
তৃপ্তি-প্রসাদ পায়। ৩৪।
নিষ্ঠা-রতি কৃতি-প্রতুল
হ’য়েই যদি না উঠল,
অলস কিংবা ছন্নছাড়া
ব্যক্তিত্বে কী লাভ হ’ল? ৩৫।
একজোটেতে রেখে মাথা
বোধ ও বিবেক সব একটানা,
সঙ্গতিতে এমনি ক’রেই
ভর-দুনিয়ায় দে না হানা। ৩৬।
মানুষ যা’দের বড় ভাবে
চলতেও চায় তা’দের দিকে,
বড় যা’রা, তাদের বলি
চলতে বড়র আচার রেখে। ৩৭।
ভক্তি-বাতুল মানুষ যা’রা
নিষ্ঠাহারা বিবেকহীন,
পাগল কথায় নানান ছাঁদে
কাটেই তা’দের চিরদিন। ৩৮।
(যা’রা) নিজের ধান্ধায় ঘুরে বেড়ায়
স্বার্থসেবা-সন্ধানে,
পরকে তা’রা বুঝবে কি আর
দরদ তা’দের কে জানে? ৩৯।
নাইকো প্রীতি, স্বার্থ আছে,
মূর্খতাই জ্ঞান তা’দের কাছে। ৪০।
লোভই যা’দের সাধনীয়
বৃত্তি-সেবার লাগি’,
সদাই তা’রা ঘুরে বেড়ায়
লোভ-ইন্ধন মাগি’। ৪১।
অনুকম্পা কম যাহাদের
লুব্ধ অনুক্ষণ,
লুব্ধ যা’তে সেইটি পেলেই
শান্ত তা’দের মন। ৪২।
নিজের স্বার্থই দেখে যে
পরের স্বার্থ নস্যাৎ,
যেমন প্রবীণ হো’ক্ না কেন
ভাগ্যটি তা’র চিৎপাত। ৪৩।
বকায় মানের হানি গণে
অবসাদগ্রস্ত মন,
কৃতি-বোধন ক্রমেই তা’দের
হয় কি বিচক্ষণ? ৪৪।
মিত্রদ্রোহী, বিশ্বাসঘাতক, কৃতঘ্ন যে আর,
স-সমর্থক নরকগতি হয়ই তাহার। ৪৫।
ভ্রষ্ট যা’রা দুষ্ট যা’রা
জন্মগত স্বভাবে,
ভয়েই শুধু অনুগত
ধারে কি ধার সদ্ভাবে? ৪৬।
বিশ্বাসঘাতী প্রতারণাই
চরিত্রে যার এস্তামাল,
সৎ-স্বভাবের সুজন পেলেই
ক’রেই থাকে হাল-বেহাল। ৪৭।
কথায়-কাজে বিশ্বস্ত হও
বিশ্বাস পাবে তবে,
দাবীর তোড়ে বিশ্বাস চেয়ে
বিশ্বস্ত কে কবে? ৪৮।
কথা শুনে লক্ষ্য রেখো
কাজে করে কী,
দেখে বুঝো কাজের ব্যাপার
খাঁটি কি মেকী। ৪৯।
কথায় যেমন তেমনি কাজে,
সে-লোকটি নয়কো বাজে। ৫০।
আচারে-ব্যবহারে
কথায়-কাজে
থাকলে মিল
নয়কো বাজে। ৫১।
দুর্ব্বলতা নয়কো ভাল
এটা যেমন ঠিক,
অসৎ কর্ম্মে সবলতা
সেটাও বেঠিক। ৫২।
বোধই যদি গেল-
শৌর্য্য-বীর্য্য যা’ই থাক্ না-
কী লাভ তা’তে হ’ল? ৫৩।
ভুল বোধ আর ধারণা নিয়ে
বেড়ায় ঘুরে তারাই,
মূর্খ আতুর অহং নিয়ে
যা’রা করে বড়াই। ৫৪।
কিসে কী হয় জানবি রেখে,
হয় না কিসে তাও জানিস্,
কখন কী হয় কেমন ক’রে
তা’তেও লক্ষ্য অটুট রাখিস্। ৫৫।
ধরণীতে নোয়াস্ নে মাথা
ধৃতি পাবি তুই কিসে,
এমন রোগেই ধরলো তোরে
হারা হ’লি তাই দিশে। ৫৬।
বিনয়ভরা শ্রদ্ধাভক্তি
কাজে-কর্ম্মে ফুটলো যেই,
প্রতিটি হৃদয় উছল ক’রে
ধৃতির নিশান উড়লো সেই। ৫৭।
বিনয়ভরা যে-হৃদয়ে
বোধ-বিবেকের সমাবেশ,
আদেশ-নিদেশ কেউ দিলে তা’য়
সুখই পায় সে, করে না দ্বেষ। ৫৮।
নগণ্য চর্য্যায় বহুত আদর-
পেয়ে করে ভুল আপন কদর। ৫৯।
নিষ্ঠা-প্রতুল হৃদয় যা’র,
খ্যাতিতে বাধা ঘটে না তা’র। ৬০।
স্থির, ধীর, প্রিয়বাদী,
শাসনও যা’র মিষ্টি,
সমীচীনে শুভে চলে
সেইতো প্রেয়ের সৃষ্টি। ৬১।
অটল হ’য়ে নিটোল চলায়
নিষ্ঠারতি যেমন যা’র,
কৃতি-চলায় তেমনতরই
জীবন-পথে অভিসার। ৬২।
নিষ্ঠাই যা’র নাই,
বাহ্য-শিষ্টাচারে তা’র
কী করবে ছাই। ৬৩।
মিষ্টি কথা, মৈত্রীভাব,
শিষ্ট আচরণ,
বংশ আর ব্যক্তিত্বের
প্রধান লক্ষণ। ৬৪।
কাজ করে না পুরো কিন্তু
মজুরীর বেলায় পুরো চায়,
এমনতর লোকও কিন্তু
স্তেয়-দোষে দুষ্ট হয়;
খাটিয়ে নিয়ে পুরো যা’রা
দেওয়ার বেলায় যৎকিঞ্চিৎ,
চৌর্য্য-দোষে তা’রাও কিন্তু
দুষ্ট হয় সুনিশ্চিত;
স্বতঃদীপ্ত অনুগ্রহ
পরিচর্য্যায় যা’রে ধরে,
দুষ্ট হৃদয় হ’লেও সেথা
কৃতজ্ঞতা উঁকি মারে। ৬৫।
কথায়-কাজে স্থির নিটোল
আপদ-বিপদ সব-মাঝে,
ধ’রে নিবি তেমনতরই
বাস্তবতায় দেখলে কাজে। ৬৬।
যা’ই করিস্ না, সততা তোর
রাখবি অটুট শক্ত অটল,
বোধদৃষ্টিও চৌকষ রেখে
সতর্কতায় চলিস্ নিটল। ৬৭।
কথায়-কাজে মিলন যাহার
হৃদয়ভরা ধৃতি-আবেগ,
উর্জ্জীকৃতি শক্তিতে যা’র
থাকেই যে তা’র সাধু সম্বেগ। ৬৮।
আগল-পাগল চিন্তাধারা
চলাবলায় নাইকো মিল,
চঞ্চলতাই সম্পদ্ তা’র
কোন কাজে তা’র নাই মিছিল। ৬৯।
কুৎসিত আর কুপিত গ্রহের
প্রথম আভাস এই-
ধাপ্পাবাজি ক্রোধন-স্বভাব
সমবেদনা নেই। ৭০।
সৎসন্দীপী ও উপকারী
রুক্ষ কথায় চটে যা’রা,
অন্তরেতে বুঝিস তা’দের
নাই পদার্থ অহং ছাড়া। ৭১।
মর্ম্ম যা’র যেমন
কর্মও তা’র তেমন। ৭২।
মন্দ করার প্রলোভনটি
যা’রই যেমন ক্রিয়াশীল,
ব্যক্তিত্বতে তেমনই সে
তেমনতরই পঙ্কিল। ৭৩।
সব সময়েই আপসোস করে
কাজে তেমন করে না,
নিষ্ঠা ও কৃতি দৈন্যভরা
নাইকো তা’তে ঊর্জনা। ৭৪।
নিন্দা-কুৎসা ক’রে কা’রও
হয় না শুভ অনুষ্ঠান,
মিষ্টি কথায় শিষ্ট চালই
উদ্বোধনার উপাদান। ৭৫।
(যদি) দোষ-বচসা কর,
জ্বলবেই কিন্তু দুষ্ট আগুন
যে-ক্ষমতাই ধর। ৭৬।
করার চলন যেমনতর
যেমনতর আবেগ যা’র,
ভাল-মন্দের তা নিয়ে
তেমনতর প্রাপ্তি তা’র। ৭৭।
সন্দেহটা নিশ্চয় নয়
কল্পনারই উৎস তা’,
প্রায়ই জানিস্ হয় মেকী
দিগ্ধ মনের অলীক কথা। ৭৮।
নষ্ট যা’রা ভ্রষ্ট যা’রা
কূট-কুৎসিত হৃদয় পায়,
যেমন ভাল যা’ই কর না
নষ্টপানেই তা’রা ধায়। ৭৯।
মিথ্যা ধারণা, মিথ্যা বিচার
মিথ্যা বোধের গর্ব্ব,
সকলি হারায় যায় রসাতলে
আপদ্-দীর্ণ সর্ব্ব। ৮০।
বোধ, চরিত্র, আচরণ
যেমন উন্নতিতে চলে,
সেই মানুষই তেমন শ্রেয়
প্রকৃতি তা’ই বলে। ৮১।
যে যেমন হো’ক্
ইষ্টনেশায় যেমন কৃতী, যেমন দড়,
সৎদীপনার এই আবেগই
নিদান তাহার তেমনতর। ৮২।
উত্তেজনায় অন্তরটি যা’র
যেমন ফুটে ওঠে,
ব্যক্তিত্বও তা’র তেমনতরই
বুঝে রেখো বটে। ৮৩।
সুন্দর যা’র চলন-বলন
নিষ্ঠানিপুণ যুক্তি-জ্ঞান,
মিষ্টি-মধুর বোধ-ব্যবহার-
সৌন্দর্য্যেরই এই তো দান। ৮৪।
চিন্তা-চলন উন্মুখতায়
গুপ্ত-বিরোধ যা’র মনে,
দৈন্যভরা উল্টো স্বপ্ন
প্রায়ই ওঠে সেইখানে। ৮৫।
(তোদের) ভাল হবে কী?
ভাল করতে যা’ক্ না যে-কেউ
(যদি) রটাস্ ঘৃণ্য ছি! ৮৬।
নিষ্ঠা যা’দের কম-
কোন কাজেই থাকে না লেগে,
রয় না তা’তে দম। ৮৭।
নিষ্ঠানিপুণ বোধদীপ্ত
চরিত্র ও আচরণ
মোকথাভাবে মিলিয়ে দেখে
বুঝে নিও লোক কেমন। ৮৮।
মান, বড়াই আর যশের লোভে
অর্থ-সম্পদ আপ্যায়নায়,
নিষ্ঠা-শ্লিষ্ট হ’য়ে যে-জন
কোথাও এসে থমকে দাঁড়ায়;
নিছকভাবেই জেনে রাখিস্-
নিষ্ঠা নাই তা’র কোনকালে,
ঠকবাজি ও প্রতারণায়
নিজেরে সে খোয়ায় হেলায়। ৮৯।
দুষ্ট-কুটিল অসৎ আচার
নিষ্ঠুরতার অভিযান,
তোমার ধৃতি না ভাঙ্গলে তা’য়
নিষ্ঠাপ্রতুল তোমার প্রাণ। ৯০।
নিষ্ঠাস্রোতা শ্রদ্ধা নিয়ে
কৃতির পথে যেমন চলে,
তেমনতরই স্থৈর্য্যে তা’রা
উজিয়ে চলে বুকের বলে। ৯১।
বলা-করা, চিন্তা-চলন
নয়কো যা’দের সমীচীন,
নিষ্ঠানিপুণ নয় আগ্রহ
সকল কাজেই তা’রা হীন। ৯২।
ঊর্জ্জী নয়কো শ্রদ্ধা যাহার
কৃতিমন্থর জীবন-রাগ,
সঞ্চারণা নিথর তাহার
দীপ্ত নয়কো জীবন-যাগ। ৯৩।
ঊর্জ্জনাহীন শ্রদ্ধা তোমার
সেবা-শিথিল হ’লে,
কৃতির আলো জ্বলবে না তোর
ব্যর্থ হ’বি চ’লে। ৯৪।
অকৃতজ্ঞদের এমনি ধারা
স্বার্থ ছাড়া নাই রতি,
যা’দের দিয়ে স্বার্থ সফল
তা’দের সাথেই কেবল প্রীতি। ৯৫।
অন্তঃকরণ নীচু যা’দের
বলায়-করায় নীচুই হয়,
জন্মগত পার্থক্য এই
আপনি আপনার ঘোষে জয়। ৯৬।
অহং-পোষক দাম্ভিক হ’লে
দম্ভে হবে হীন,
ছোট্ট-হৃদয় কটু বুদ্ধি
ব্যক্তিত্বে হবে ক্ষীণ। ৯৭।
অশিষ্ট বা নীচু যা’রা
তা’দের চলার এমনই ধারা,
যা’দের প্রতি যা’ নয়কো করার
তা’দের বড়াই সেইটি করা। ৯৮।
কোন্ দিকে কে কেমন ঝোঁকা
ভাববিধুর সক্রিয়তায়,
তা’ই বুঝে তুই নিসই বেছে
কেমন সে-জন বাস্তবতায়। ৯৯।
কুকুর ডাকে ঘেউ-ঘেউ
কাক ডাকে কা-কা,
যা’র যেমনটি স্বভাবে হয়
চালাক না হয় বোকা। ১০০।
সাদা দেখলে বুঝিস্ নাকো
কটু তা’তে নাই,
কথায়-কাজে, বিশ্বস্ততায়
দেখবি যেমন, তা’ই। ১০১।
অন্ধকারে সাদা থাকে
আলো পেলেই লাল,
পদ্ম হ’লেও নয়কো কমল,
পদলোভী মাতাল। ১০২।
চিনিই শুধু মিষ্টি নয়
বিষও মিষ্টি হয়,
করণ-কারণ দেখে তাহার
করিস্ পরিচয়। ১০৩।
বাকে সাধু অলস যে-জন
অবশ কুটিল গতি,
শ্রেয়চর্য্যা মূঢ় তা’দের
শুধু নিন্দায় রতি। ১০৪।
ব্যক্তিত্বটা ব্রাহ্মী তা’রই
বর্দ্ধনী জ্ঞান যেথায় রয়,
কথা-বার্তায়, চরিত্রে আর
আচরণে তা’ বিচ্ছুরয়। ১০৫।
অকৃতজ্ঞ দেখবি যা’রা-
কথার নেইকো ঠিক,
ভদ্র-শূদ্র হো’ক না যে-সেই
আসলে বেল্লিক। ১০৬।
জীবন-ধৃতি দ্যুতিমান,
দেবতা তা’রাই, তা’রাই প্রধান। ১০৭।✅
10