🔷 কোটী জন্ম করে যদি নাম সংকীৰ্ত্তন , তথাপি না পায় কেহ ব্রজেন্দ্রনন্দন...
🔷 শিক্ষাদেওয়ার কৌশল...
🔷 সংহতি যে হয় না তার কারণ...
🔷 নাম করে রোগ সারান ...
৭ ই অগ্রহায়ণ , শনিবার , ১৩৪৮ ( ইং ২২ / ১১/১৯৪১ )
অন্যান্য দিনের মতাে আজও যথাসময়ে ঈষদা - দা ( বিশ্বাস ) , বিমলদা (মুখােপাধ্যায় ) , ইন্দুদা ( বসু ) প্রভৃতি পৌছে গেছেন । কথাবার্তা সুরু হয়েছে ।
শ্রীশ্রীঠাকুর — তথাকথিত University education ( বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ) ছেলেদের normal motor - sensory co - ordination ( স্বাভাবিক চিন্তা ও কর্মের সামঞ্জস্য ) অনেক কষ্টে ভেঙ্গে তাকে একটা graduated ( ডিগ্রীধারী ) ঠ্যাং ভাঙ্গা ‘ দ ক'রে তােলে । University থেকে যখন বেরােয় , তখন চারিদিকে সরষের ফুল দেখতে থাকে , কী করবে কিছুই বুঝতে পায় না , decision ( সিদ্ধান্ত ) ব'লে কিছু থাকে না । Principle or Ideal ( নীতি বা আদর্শ ) বলে কিছু না থাকলেই এমনি হয় । Principle or Ideal ( নীতি বা আদর্শ ) কিন্তু একটা idea ( ভাব ) না , একজন person ( মানুষ ) । চরিত্র ’ , ‘ চরিত্র ’ বলে , কিন্তু একটা চরিত্রবান মানুষ সামনে না থাকলে চলা বা বিবেচনা ঠিক হয় না , তাই চরিত্রই form ( গঠন ) করে না । মেরী ম্যাগডলিনের কথা ভাব তো দেখি , তার আগের জীবন কেমন ছিল । কিন্তু ক্রাইষ্টকে যখন সবাই deny ( অস্বীকার ) করল তখন কিন্তু সে একলাই তাকে আঁকড়ে ধরেছিল । পরে যখন শিষ্যেরা দেখল -আসর জমে উঠেছে , গা ঢাকা দিয়ে থাকলে পস্তাতে হবে , তখন এক - একজন খাতা , গামছা বগলে নিয়ে অমুক saint , তমুক saint ( সাধু ) নাম নিয়ে বের হলাে । সব সত্ত্বেও মেরী ম্যাগডলিনের বলতে হবে চরিত্র ।
ইন্দুদা — আপনি হয়তাে সবার যা করণীয় তা বলে দিয়েছেন , কিন্তু একজন হয়তাে বলছে - শ্রীশ্রীঠাকুর তে individually ( ব্যক্তিগতভাবে ) আমাকে কিছু বলেননি , সে কেমন ?
শ্রীশ্রীঠাকুর — তার কারণ ঐ Ego ( অহং ) । নরক কা মূল অভিমান ' । এক ছেলে হয়তো বাপের জন্য আম নিয়ে গেছে , তখন বাপ ব্যস্ততাবশতঃ নজর দিতে পারেনি । আর - একজনের কাছ থেকে হয়তাে জামরুল নিয়ে খেয়েছে , সে শুনে অভিমান করে বলল— “ আমি আর দেবই না , বাবা আমায় ভালবাসে না । Complex- এর ( বৃত্তির ) জন্যই ঐ রকম হয় , normal mood (স্বাভাবিক মেজাজ ) -এ সে তা ভাবতেও পছন্দ করে না । গোড়ার কথা কিন্তু মা - বাপ বা গুরুর প্রতি আমার ভালবাসা , তাদের জন্য আমার করা , তার উপরই আমার ভবিষ্যৎ নিভর করে । মা - বাবা আমাকে লাখ ভালবাসলেও আমার কিছু ; হবে না আমি সেভালবাসা realise ( অনুভব ) করতেও পারব না ! টান থাকলে গুরু মারলেও বলতে থাকে —“ মেরা গরু , বড় দয়াল “ ।
নাম ও নামী - সম্বন্ধে প্রশ্ন উঠলো ।
শ্রীশ্রীঠাকুর - নাম - নামী অভেদ , যে নাম সেই কৃষ্ণ । নাম নামীর সবটাকেই নির্দেশ করে । Realised man ( সিদ্ধপুরুষ ) সদগুরু না হলে এবং সেই সদগুরুর প্রতি টান না থাকলে নাম ফলবতী হয় না , তাই আছে — কোটী জন্ম করে যদি নাম সংকীৰ্ত্তন , তথাপি না পায় কেহ ব্রজেন্দ্রনন্দন ।
সংসৃজন ও সংগঠন কৰ্ম্ম সম্বন্ধে কথা উঠলো — শ্রীশ্রীঠাকুর কথায় - কথায় বললেন— Consolidation ( সংহতি ) যে হয় না , তার দুটো কারণ আছে । প্রথম complex- এর ( বৃত্তির ) nurture ( পােষণ ) -এর জন্য ঠাকুরকে utilise ( ব্যবহার ) করে , আমি ঠাকুরের ’ এ বুদ্ধি থাকে না । আর mutual interest (পারস্পরিক স্বার্থ ) না দেখে পরষ্পরকে ঠকিয়ে স্বার্থসিদ্ধি করতে চায় । একজন হয়তাে কুক্রিয়াসক্ত কিন্তু সে ফিরবার পথে ইন্দুদার মা’র একাদশী — এই ভেবে একটা তরমুজ রাস্তা থেকে কিনে নিয়ে এল । যে যেমনই হােক , পরস্পরের প্রতি এই টান আসলেই consolidation ( সংহতি ) আসে । রাধারমণ ! তুমি হয়তাে ইন্দুর একটা বাড়ী তৈরী করার ভার নিলে — তুমি ভাবলে , আমি তাে শতকরা এত পাব , যা লাগে লাগুক , তুমি খাটলেও খুব , কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইন্দু ভাবলাে — ঠকে গেছে । তুমি যদি ভার নিয়ে গোড়া থেকেই ভাবতে , কেমন করে পাঁচশত টাকারটা আড়াইশত টাকায় করা যায় , পায়খানায় গিয়ে বসেও দাগ কাটছ , পরিকল্পনা করছ , মাথায় ওই চিন্তা পেয়ে বসেছে — এইভাবে একটা উপায় তখন বেরিয়ে গেল , সেইমতো করে ফেললে , ইন্দু খুশি হয়ে তোমায় তখন কত দেবে , আর সে - পাওয়া কত মিষ্টি । তা তো না । মাথায় থাকে অন্য ধান্ধা তা’তে তুমি ঠকো । প্রত্যেকের স্বার্থকে নিজের স্বার্থ বিবেচনা করে চললে আমার স্বার্থই ভালভাবে বজায় থাকে । Charity begins at home— নিজের বাড়ী থেকেই এ - সব আরম্ভ করতে হয় । বাড়ীতে ও সদগুরুর স্থানে সবাইকে নিয়ে চলতে গেলে অনেক সইতে হয় , ধৈর্যের পরীক্ষা চলে , তাই বলে , কাশীতে কালভৈরব আছে । যাহােক , পরস্পর প্রীতিপূর্ণ এই সওয়াবওয়া ছাড়া কিন্তু সংহতি হয় না ।
শ্রীশ্রীঠাকুর ইন্দুদাকে বললেন — তোরা যদি বিক্রি করার ব্যবস্থা করতে পারিস তবে কালিদাসী , সরােজিনী এরা Cottage industry ( কুটীরশিল্প ) , knitting product ( সূচীশিল্প ) ভাল করে করতে পারে ।
রােগ - ব্যাধি এবং চিকিৎসা - সম্পর্কে কথা উঠতে শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন — নাম করে রোগ সারান আগে বহু হয়েছে । এর একটা record ( লিখিত বিবরণ ) নেওয়া ভাল । নিজের বা immediate ( নিতান্ত ) কাছে যারা আছে তাদের মধ্যে doubtful ( সন্দেহপূর্ণ ) or sarcast ( বিদ্রুপাত্মক ) attitude ( মনোভাব ) থাকলে হয় না । পারা না - পারার কোন প্রশ্ন না নিয়ে বিভাের হয়ে রােগীকে স্পর্শ করে নাম করতে থাকলে একটা effulging shower of vital force (প্রাণশক্তির প্রোজ্জ্বল বর্ষণ ) হ'তে থাকে , তাতে curative force (আরােগ্যকারিণী শক্তি ) বৃদ্ধি পাওয়ায় রােগ নিরাময় হয় । এতে কারও কোনরকম infection ( সংক্রমণ ) হয়েছে বলে শােনা যায়নি । Observe (পৰ্যবেক্ষণ) করে দেখতে হয় ।
বিকালে শ্রীশ্রীঠাকুরের সঙ্গে চরে বেড়াতে বেড়াতে কেষ্টদা জোয়াডের গাইড টু মডার্ণ পলিটিক্যাল থিয়েরি - সম্বন্ধে আলােচনা করছিলেন । শ্রীশ্রীঠাকুর কথা প্রসঙ্গে বললেন — সমাজের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ব্যক্তিবৈশিষ্ট্য - পূরণের স্থান নেই যেখানে , সেখানে গোল আছে জানবেন ।
৮ ই অগ্রহায়ণ , রবিবার , ১৩৪৮ ( ইং ২৩/১১/১৯৪১ )
শ্রীশ্রীঠাকুর অতি প্রত্যুষে কেবলমাত্র ঘুম থেকে উঠে তাতে বিছানায় বসে তামাক খাচ্ছেন । তখনও ঘোর - ঘাের অবস্থা , বাঁশঝাড় থেকে দু’চারটি পাখী সবাইকে সজাগ করে দেবার জন্য ভোরের জাগরণী গান গাইছে , কয়েকটি কুকুর আশ্রম - প্রাঙ্গণে নিশ্চিন্তে ঘুমুচ্ছে , আর সামনের বিরাট চরে এক বিশাল নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে । এমন সময় বিমলদা ( মুখােপাধ্যায় ) , ইন্দুদা ( বসু ) , ঈষদা - দা ( বিশ্বাস ) , পঞ্চাননদা ( সরকার ) , প্রফুল্ল প্রভৃতি তাসুতে এসে নীচেয় বসলেন । বসে তাকে দেখছেন , দেখছেন তার স্মিতগম্ভীর অপূর্ব দিব্যকান্তি ; স্নেহকরুণা প্রেম - সমুজ্জ্বল সেই নিখিল - আনন্দ - বিগ্রহকে দেখতে - দেখতে সকলের মন এক অপার্থিব ভাবরসে ভরপুর হয়ে উঠছে । এমনতর অবস্থায় কিছু সময় নির্বাক ভাবে কাটলো । তারপর শিক্ষা - সম্বন্ধে আলােচনা শুরু হলাে ।
প্রফুল্ল — ছাত্রজীবনে যে - সব বই আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয় , সেসব পড়ার যে কোন প্রয়ােজন আছে , তা আমরা বোধ করি না , তাই সেগুলি পড়তে ভালও লাগে না , তার উপায় কী ?
শ্রীশ্রীঠাকুর — খেলাধুলাে ও কাজের ভিতর - দিয়ে যদি শিক্ষা হয় , তবে অমন হয় না । পাঠ্য বিষয়গুলির উপযােগী করে নানারকমের খেলাধূলো ও জীবন চলনার পক্ষে প্রয়োজনীয় কাজের সৃষ্টি করা লাগে । তুমি হয়তো ছেলেদের নিয়ে একটা গাড়ী তৈরী করলে , বললে , whistle দিলে ( বাশী বাজালে ) blue flag (নীল নিশান ) দেখলে , train ( গাড়ী ) start দিয়ে চালিয়ে দেবে । এই খেলার ভিতর - দিয়ে কত কী সে অজ্ঞাতসারে শিখে যাবে । এই সঙ্গে - সঙ্গে এমনভাবে ইঙ্গিত দিতে হয় , যাতে তার অনুসন্ধিৎসু উদ্ভাবনী বুদ্ধি তরতরে ও তুখােড় হয়ে ওঠে । তখন কোনকিছু করবার কায়দা - করণ জানবার জন্য প্রয়ােজনবশেই সে হয়তাে বইপত্র ঘেটে পট করে অনেককিছু এস্তামাল ক'রে নেবে , মনে রাখবার জন্য তাকে কোন কসরতই করতে হবে না । কোন ফাঁকে যে সে কী শিখলো তা নিজেই ঠাওর পাবে না । ছেলেরা novel ( উপন্যাস ) প'ড়ে একটা কথাও ভােলে না , অথচ Battle of Trafalgar- এর ( ট্রাফালগারের যুদ্ধের ) একটা কথাও মনে থাকে না , তার মানে কী ? তার মানে , ঐ interest এর ( ভাললাগার ) খাকতি , interest awaken করাই ( অনুরাগ জন্মানটাই ) শিক্ষকের প্রধান কাজ , আর সেটা একটা art ( শিল্প ) -বিশেষ । শিক্ষকের চাল - চলন , ভাব - ভঙ্গী , কথাবার্তা খুব মনোজ্ঞ , হৃদয়গ্রাহী হওয়া চাই । কথার ভিতর দিয়ে তারা ছবি একে দেবেন , ব্যাপারটাকে বাস্তব ও জীবন্ত করে তুলবেন , আর তাদের নিত্য - নূতন নানারকম activity ( কর্ম ) ও game ( খেলা ) invent ( উদ্ভাবন করতে হয় , ছাত্রদেরও তখন মাদকতার মতো এসে যায় । ফল কথা , practical ( বাস্তব ) কাজের উপর দাড়িয়ে হবে যত - কিছু theoretical ( উপপত্তিমূলক ) পড়াশুনা । এইভাবে করলে খুব কম ছেলেই অকৃতকার্য হয় । ছাত্র যদি অকৃতকার্য হয় , তার জন্য প্রধানতঃ শিক্ষকই দায়ী । একটা ছেলে পারে না , তার মানে তার interest- এর ( ভাললাগার ) দরজা দিয়ে আমি ঢুকতে পারিনি । Field - work ( কর্মক্ষেত্র ) -এর ভিতর লক্ষ্য করে প্রত্যেকের বিশিষ্ট interest ( অনুরাগের বিষয় ) -টা ধরতে হয় , কে কী করতে , কোন ধরণের গল্প শুনতে ভালবাসে , দেখতে হয় । তার ভিতর - দিয়ে অগ্রসর হতে হয় , তাহ'লেই পারে ।
গেষ্ট - হাউসে একটি দাদার কয়েকবার পায়খানা হয়েছে শুনে শ্রীশ্রীঠাকুর তাড়াতাড়ি প্যারীদাকে পাঠিয়ে দিলেন সেখানে ।
পঞ্চাননদা পূর্বপ্রসঙ্গে প্রশ্ন করলেন — তবে কি merit- এর ( মেধার ) কোন প্রশ্ন নেই ।
শ্রীশ্রীঠাকুর— Merit ( মেধা ) -ferit সব নির্ভর করে মা ও শিক্ষকের প্রতি ছেলের টানের Original (মূল ) টানটারই furtherance ( ক্রমােন্নতি) ঘটিয়ে দিতে হয় । আর , সেটাও অনেকখানি নির্ভর করে শিক্ষকের সক্রিয় ইষ্টানুরাগের উপর । অবশ্য , পিতা - মাতার মধ্যেও এ - জিনিসটা থাকা চাই , কিন্তু তারা যদি আদর্শবান্ নাও হন , শিক্ষক আদর্শবান হলে ছেলেদের চরিত্রকে প্রভূত পরিমাণে আদর্শানুগ করেতে পারেন ।
আচাৰ্য্য - প্রতিনিধি হয়তো ছাত্রদের বলছেন - ‘ পঞ্চাননদা তোদের কত ভালবাসেন , কেমনভাবে মেশেন , যখন পড়ান ঐ কালো চামড়ার ভিতর - দিয়ে যেন আলাে ঠিকরে বেরােয় । আমি ভাবি অমন পড়ান কেমন করে , মানুষ না দেবতা ! আমি যে বুড়ো মানুষ , আমারও ইচ্ছে করে তােদের সঙ্গে এক বেঞ্চিতে বসে পড়ি । * * * মাষ্টারমশায় তোমাদের জন্য এত করেন , তোমরা কিন্তু রােজ তাকে কিছু দিয়ে খেও । শ্রেয়কে দেওয়ার auto - initiative urge ( স্বতঃস্বেচ্ছ আকুতি ) গজিয়ে দেওয়া শ্রদ্ধাকে পৃষ্ট করে তােলবার একটা বাস্তব পন্থা । যাহােক , শিক্ষককে ছাত্র যখন কোন জিনিস দিতে আসলো , তিনি হয়তাে বললেন , “ তোমার যেমন আমাকে দিতে ইচ্ছে করে , আমারও তাে অমনি একজন আছেন , তাকে দিতে না পারলে আমারও ভাল লাগে না , চল যাই ঠাকুরকে দিয়ে আসিগে । ” ছাত্র হয়তাে বললাে , আপনি কিছু রেখে দেন । শিক্ষক বললেন —না , চলো ! তাকে খাইয়ে আমার তৃপ্তি । আর , তোমার ভালবাসার দান তাঁর সেবায় লাগলেই তুমিও সার্থক , আমিও সার্থক , আর সেই আমার পরম পাওয়া । আর , ঐ পথে চল যাই , আচাৰ্য - প্রতিনিধিকেও কিছু দিয়ে আসব । ছেলের তখন কী আকুতি ! তখনই দৃষ্টি গেল ঠাকুরের দিকে ।
তাছাড়া , শিক্ষকরা পরস্পরের সুখ্যাতি করবেন , প্রত্যেকেই প্রত্যেকের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়িয়ে তুলতে চেষ্টা করবেন । শিক্ষকদের ছাত্রদের প্রতি homely , intimate , loving attitude ( সহজ , অন্তরঙ্গ , প্রীতিময় ভাব ) থাকবে , অথচ honourable distance ( সম্ভমাত্মক ব্যবধান) থাকবে । সব চেয়ে ক্ষতি করে নিজে পালন না করে উপদেশ দিতে যাওয়ায় । ওতে ছাত্রেরা অশ্রদ্ধা পূর্ণ সমালােচনা করার সুযােগ পায় । নিজে আচরণের ভিতর দিয়ে সহজ কল্যাণকর অভ্যাস , ব্যবহার , ঝোক এস্তামাল করিয়ে দিতে পারলেই কাজ হয়ে গেল । সেইজন্য শিক্ষকদের প্রথমতঃ চাই আচারবান , চরিত্রবান হওয়া । তাঁদের জীবনে , তাদের চরিত্রে , তাঁদের চলনায় যা জীবন্ত হয়ে থাকবে , প্রকট হয়ে থাকবে , অজ্ঞাতসারে তাই - ই সঞ্চারিত হতে থাকবে ছাত্রদের মধ্যে , আর তাই তাদের উত্তর - জীবনকে প্রভাবিত করে তাদের উন্নতি - অবনতির নিয়ামক হয়ে দাড়াবে । জাতিও চলবে সেই পথে । তাই ভেবে দেখ , শিক্ষকের দায়িত্ব কতখানি।
শ্রী শ্রী ঠাকুরঅনুকূল চন্দ্রের আলোচনা প্রসঙ্গ থেকে
#Alochona_prosonge_part_1
#আলোচনা_প্রসঙ্গেপ্রথম_খণ্ড
#ষষ্ঠ_সংস্করণ
10