পদার্থ-পরমাণু-শক্তি :-
ঠাকুর যেন জাতবিজ্ঞানী, বিষয়ের ওপর তথাকথিত পুঁথিজ্ঞান না থাকলেও বিজ্ঞানের তত্ত্বগুলি তাঁর কাছে সহজভাবে উদ্ভাসিত। অণু, পরমাণু, অপরাবিদ্যুৎ কণা (Electron), পরাবিদ্যুৎ কণা (Proton) অ্যাটম বোম, শক্তি, কস্মিক জগৎ ইত্যাদি নানান বিষয় নিয়ে তাঁর আলোচনা ও চিন্তা আমাদের নতুন আলো দেয়। এসব বিষয়ে ভক্তদের জিজ্ঞাসার উত্তর তিনি তাঁর মত করে দিয়েছেন, যার মৌলিকত্ব ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানের নতুন দিকদর্শক হবেই।
বিজ্ঞানের বিষয় জানতে গেলে বা পড়তে গেলে আমাদের একটা বিষয় বিশেষ করে মনে রাখা দরকার। সেটা হল বিজ্ঞানীদের কাছে অঙ্কের হিসেব-নিকেশটা। হয় তাঁরা কোটি কোটি সংখ্যা নিয়ে কাজ করেন, নয়তো একেবারে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র সংখ্যা নিয়ে কাজ করেন। ইলেকট্রন, প্রোটন ধারণায় আনতে গেলে, সেই অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র সংখ্যার কল্পনারাজ্যে যেতে হবে। একটু ধৈর্য ধরে অনুধাবন করার চেষ্টা করলে অনেকটা বুঝতে পারব।
প্রথমে অণু-পরমাণু কণা দু’টি কী তা একটু বলে রাখি । সোনা একটা মৌল ধাতু। সোনার আংটি আমরা ব্যবহার করেই থাকি। এই সোনার আংটি। তাকে যদি আমরা ভাগের পর ভাগ করতে থাকি এবং এভাবে ভাগ করতে করতে ঐ সূক্ষ্মাংশের এমন একটা অবস্থা আসবে যা নাকি ভীষণ ভীষণ ছোট। অবস্থার এই সূক্ষ্মকণাকে অণু (molecule) বলে । আর, তারপরও যদি সোনার ঐ সূক্ষ্মাংশকে অর্থাৎ অণুকে আবার ভাগ করা যায়, তবে পৌঁছোই পরমাণু (atom) তে। এই পরমাণুগুলিকে আর ভাঙ্গা যায় না, এটাই ছিল প্রায় ঊনবিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞানীদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত । কিন্তু বিংশ শতাব্দীতে বিজ্ঞানীরা এসে প্রমাণ করে দিলেন পরমাণুগুলিও বিভাজ্য এবং এই পরমাণু কণায় লুকিয়ে আছে দু’রকম প্রধান বিদ্যুৎ কণা— পজিটিভ বিদ্যুৎ কণা (প্রোটন) ও নেগেটিভ বিদ্যুৎকণা। এই দুই মৌলিক কণাই হাইড্রোজেন থেকে আরম্ভ করে এযাবৎ আবিষ্কৃত মৌল বা যৌগ পদার্থের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সংখ্যায় নির্দিষ্ট রয়েছে। এই নির্দিষ্ট বিদ্যুৎকণাগুলি এক একটি বিশিষ্টচক্রে সংগঠিত হয়ে গড়ে তুলেছে তথাকথিত এক একটি পদার্থের পরমাণু।
পরমাণুর (atom) দু’টি ভাগ — একটি অন্দর মহল আর একটি বাইরের মহল। অন্দর মহলের পরিধি অত্যন্ত ছোট। বাইরের মহলের পরিধি অনেক বড়। এই অন্দর মহলের বৈজ্ঞানিক নাম পরমাণু কেন্দ্ৰ বা nucleus (নিউক্লিয়াস) এবং বাইরের মহলের নামই হল ইলেকট্রন- মহল। অন্দর মহল অর্থাৎ পরমাণুকেন্দ্র কী দিয়ে গড়া তাই আগে দেখা যাক। পরমাণুকেন্দ্রের মধ্যে থাকে পজেটিভ বিদ্যুৎ গুণসম্পন্ন কণাগুলি। ‘এই কণাগুলির নামই প্রোটন। যে পরমাণুর মধ্যে যতগুলি প্রোটন আছে তার পারমাণবিক সংখ্যাও তত। হাইড্রোজেনের একটি পরমাণুর মধ্যে একটি প্রোটন আছে। তাই তার পারমাণবিক সংখ্যাও এক।
সোনার মধ্যে আছে ৭৯টি প্রোটন। তাই ওর পারমাণবিক সংখ্যা হ’ল ৭৯। তেমনি ভীষণ ভারি ইউরেনিয়ামের মধ্যে আছে ৯২টি প্রোটন। তাই তার পারমাণবিক সংখ্যা ৯২। অণু, পরমাণু কাউকেই চোখে দেখা যায় না, অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যেও না। এসব এমনই ছোট!
রাদারফোর্ড-বোরের বৈজ্ঞানিক সাধনার ফলে বেরিয়ে এল চমকপ্রদ তথ্য । পরমাণু কেন্দ্রক বা নিউক্লিয়াসের চতুর্দিকে সমানে ঘুরপাক খাচ্ছে ইলেকট্রন। যতগুলো প্রোটন, ততগুলো ইলেকট্রন। বিভিন্ন ব্যাসার্ধে প্রোটন সমন্বিত নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে তারা ঘুরেই চলেছে। এরই মাঝে হঠাৎ হয়ে গেল নিউট্রনের আবিষ্কার। এদের আবার কোন চার্জই নেই। একেবারে নিস্তরিং। এই নিউট্রনগুলো প্রোটনের সাথে জটলা বেঁধে থাকল নিউক্লিয়াসে। এগুলোতো সব মোটামুটি জানা তথ্য। পরমাণুকে ভাঙা গেলেও কিন্তু ইলেকট্রন-প্রোটন-নিউট্রন কী দিয়ে তৈরি, বিজ্ঞান এখনও তা বলতে অপারগ। এখানে ঠাকুর বলেন, — এই প্রোটন (Proton) ইলেকট্রন (Electron ), নিউট্রন (Neutron) —এগুলি সবই compund body (যৌগিক বস্তু)। এরা আরও কিছু দিয়ে তৈরি। নিঃসন্দেহে বিষয়টি গবেষণার।
E = mc² । E যেখানে শক্তি, m হল পদার্থের ভর, c মানে আলোর গতিবেগ। আইনস্টাইনের এই সূত্র শতাব্দীর অন্যতম সেরা আবিষ্কার। ভরকে রূপান্তরিত করে দেওয়া যাবে শক্তিতে। ভরের সাথে আলোর গতিবেগের বর্গের গুণফল ঐ পরিমাণ ভর থেকে প্রাপ্ত শক্তির পরিমাণ। সাধারণভাবে উনুনে কয়লা জ্বালালে রাসায়নিক পরিবর্তনে আমরা সামান্য তাপশক্তি পাই। কয়লার ভর পরিণত হয় কার্বন-ডাই- অক্সাইড আর ছাইয়ে। নতুন রাসায়নিক বন্ধন তৈরি হওয়ার ফলে যৎসামান্য শক্তি বেরিয়ে আসে। কিন্তু বিশেষ উপায়ে যদি এক কেজি কয়লাকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে (কোন গ্যাস বা ছাই না রেখে) যদি শক্তি উৎপাদন করা যায়, তবে, সে শক্তি দিয়ে হাজারটা ১০০ পাওয়ারের বাল্ব পাঁচবছর জ্বালিয়ে রাখা যাবে। ভর আর শক্তির পারস্পরিক রূপান্তরের আশ্চর্য্য সমীকরণের হদিশ দিয়েছিলেন আইনস্টাইন। আর ঠাকুর বললেন, –
“লীলায়িত ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াশীল
বিকিরণী-সংঘাত হ’তেই আসে শক্তি,
শক্তির বিশেষ সঙ্গতিই আনে অস্তু ,
আর, তা’ হ’তেই বস্তু,
বস্তুর বিশেষ সংহতি হ’তেই
জীবনের উদ্ভব
আর, সক্রিয় জীবনেই থাকে প্রাণনক্রিয়া।”
কিংবা
“শক্তি জমাট বেঁধেই বস্তু হয়,
আর, তা’ই
বস্তুকে নিয়ন্ত্রণ ক’রে থাকে—
স্বতঃ সংনিয়মন-তাৎপর্য্যে;
বস্তু
ঐ শক্তিরই অবস্থার ক্রমমাত্র ;
যখন সে
জমার সংহতি হারিয়ে ফেলে—
তখন আবার
ঐ শক্তিতেই পৰ্যবসিত হ’য়ে ওঠে।”
ঠাকুরের ধারণারই সংগঠিত রূপ দেখতে পাই আইনস্টাইনের সমীকরণে। মজার কথা যে ঠাকুর পদার্থবিদ্যার ছাত্র ছিলেন না বা আইনস্টাইনও পড়েননি।
ভর থেকে এই বিপুল শক্তিকে ঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে রকেট পর্যন্ত ছোটানো যেতে পারে। ভারতের মোট শক্তি চাহিদার প্রায় পাঁচ শতাংশ আসে এই ভর বিনষ্ট করে পাওয়া শক্তি (পারমাণবিক শক্তি) থেকে। সাধারণতঃ ভারি মৌলের পরমাণুকে (যেমন, — ইউরেনিয়াম, প্লুটোনিয়াম ইত্যাদি যাদের নিউক্লিয়াসে প্রোটনের সংখ্যা নব্বই-এর কাছাকাছি বা তারও ওপরে) বিশেষ প্রক্রিয়ায় ভেঙে দু’টুকরো করে ফেলা হয়। খুব সহজভাবে বলতে গেলে, —
ভাঙন
A ➤ B + C
A মৌলের পরমাণুকে ভেঙে B এবং C মৌলের পরমাণু তৈরি হল। মজাটা অন্য জায়গায়। দেখা গেল, B আর C পরমাণুর মিলিত ওজন A পরমাণুর ওজনের চেয়ে কম। বাকি ওজন গেল কোথায় ? আসলে, খুঁজে না পাওয়া এই ওজন রূপান্তরিত হয়ে গেছে শক্তিতে। অনেক শক্তিতে। তাহলে, সঠিকভাবে সমীকরণটি এবার লেখা যেতে পারে—
ভাঙন
A ➤ B+ C + শক্তি
একেই বলে ‘ফিশান রিঅ্যাকশান।’
নিয়ন্ত্রিতভাবে এই উৎপন্ন শক্তিকেই নানান গঠনমূলক কাজে লাগানো যায়। আবার, ইচ্ছে করলেই এই শক্তি দিয়ে দেশ-বাড়ী-শহর- নগর ধ্বংস করে ফেলা যায়।
এরকমই একটি প্রোজেক্টে হাত দিয়েছিলেন মার্কিন সরকার। দশহাজার বিজ্ঞানী নিয়ে বিগত শতকের তিরিশের দশকের শেষের দিকে আমেরিকার ম্যানহাটনে তৈরি হল অ্যাটম বোমা তৈরির কারখানা । যথাসময়ে ঐ কারখানায় তৈরি হল ‘লিটল বয়’ আর ‘ফ্যাটম্যান’ (দু’টো অ্যাটম বোমা)। ১৯৪৫ সালের ৬ই আর ৯ই আগস্ট জাপানের হিরোশিমা আর নাগাসিকি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল সেই অ্যাটম বোমাদু’টির বিস্ফোরণে। বোমার মধ্যে ভারি মৌল রেখে তার পরমাণুগুলিকে টুকরো করে ভেঙে ফেলার বন্দোবস্ত হল। অপরিমেয় শক্তিতে ধ্বংস-প্রগতি। ঠাকুর তখন দেশ-বিভাগের আশংকায় উদ্বিগ্নচিত্ত অধুনা বাংলাদেশের পাবনায়। তাঁর সাধের বিশ্ববিজ্ঞান কেন্দ্রে তিনি পারমাণবিক শক্তির সুষ্ঠু ব্যবহারের চেষ্টাও করেছিলেন বিজ্ঞানমনস্ক অনুগামীদের দিয়ে। হ্যায়! সেদিন ব্যথিত হৃদয়ে বিশ্বপ্রেমিক বিশ্বমানবের মৃত্যুর সংবাদ শুধু শুনেছিলেন। অণু-পরমাণুর বিদারণে প্রকাণ্ড ধ্বংস লীলাও তাঁর ধারণায় ছিল। বলেছিলেন,—
‘অশুভ আণবিক সংঘাত
সৃষ্টি করতে যেও না,
প্রত্যেকটি পিন্ডিক কোষ
কতকগুলি অণু-সঙ্কলনেরই
পৈন্ডিক-অভিব্যক্তি
তুমি যদি বিশেষ প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে
অণু-সংঘাত সৃষ্টি কর,—
ঐ পিণ্ডিক কোষ বিধ্বস্ত হয়ে উঠবে, -
পিণ্ডিক কোষ : Molecular adjustment of cells
বা কোষের আণবিক নিয়ন্ত্রণ
পৈত্তিক অভিব্যক্তি : Molecular form বা আণবিক রূপ।
তা’র যন্ত্রণ-বিনায়না ভেঙ্গে
ব্যতিক্রমে বিত্ৰস্ত হ’য়ে উঠবে,
প্রাকৃতিক সঙ্গতি চুরমার হ’য়ে যাবে
আর, তা’ সুদুর প্রসারী হ’য়ে
প্রতিটি কোষকে বিধ্বস্ত ক’রে
কোষ-সঙ্কলনী অণুগুলিকে
ইতস্ততঃ সংঘাতের ভিতরে দিয়ে
মিলনাবেগে ছুটে-ছুটে
ঐ পিত্তিক জগৎকেই
এস্ত-সংক্ষুব্ধ ক’রে
জীব-জগৎ, উদ্ভিদ্-জগৎ
এমন-কি, স্থাণু-জগৎকে
আক্রমণ ক’রে
তা’র প্রাকৃতিক আকর্ষণী-বিকর্ষণী
অনুবেদনাকে
বিত্রস্ত ও ব্যতিক্রান্ত ক’রে
জীবনের যোগদীপনাকে
নষ্ট করে ফেলবে;
আর, আক্রান্ত হবে সবাই,
যে-এলাকারই ঐ সংঘাত
সৃষ্টি করা হয়,—
তা’ প্রসার লাভ ক’রবে
ততদূর ও ততক্ষণ পর্যন্ত—
ঐ সংঘাত-সম্বেগ-উৎসৃষ্ট অনুগতি
যতক্ষণ পর্য্যন্ত
নিরুদ্ধ না হয়;
তাই, এমনতর দুর্দ্দৈবের পরিকল্পনা
যা’ বিপর্য্যয় ও মৃত্যুকে
আবাহন করে থাকে—
তা’কে আমন্ত্রণ ক’রতে যেও না;
যদি পার,
শুভদ ব্যবহারে—
শুভপ্রসূ ক’রে—
মানুষের জীবন-বর্দ্ধনার
অমোঘ অমৃত-রশ্মিকে
উদ্ঘাটন ক’রে
অমরণ-অনুদীপনায়
অধিষ্ঠিত থাক
আর, তা’র অধিকারী ক’রে তোল
সবাইকে।”— (বিজ্ঞান বিভুতি, শ্রীশ্রীঠাকুর )
ধ্বংসলীলা বর্ণনাময় হয়ে উঠেছে তাঁর ভাষ্যে। তেত্রিশতম লাইনে ‘সংঘাত-সম্বেগ-উৎসৃষ্ট অনুগতি’ বলতে ঠাকুর পারমাণবিক বোমার
‘শৃঙ্খল-বিক্রিয়া’ বা Chain-reaction-এর প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। একচল্লিশতম লাইনে শুভদ ব্যবহার’ বলতে পারমাণবিক শক্তির শান্তিপ্রিয় প্রয়োগের দিকটিই আলোকিত।
রামায়ণ-মহাভারতে আমরা যেমন অগ্নিবাণের কথা শুনেছি, তেমনি বরুণের কথাও আছে। এক বাণের পাল্টা বাণ। দু’জনের বিপরীতমুখী ক্রিয়ায় সৃষ্টিধারা অক্ষুণ্ণ থাকল। ঠাকুরও ‘অ্যাটম বোমা’র বিপরীত ‘অ্যান্টি অ্যাটম বোমা’র কথা বলেছেন। উপযুক্ত শব্দতরঙ্গ সৃষ্টি করে এবং প্রয়োগ করে বিস্ফোরণের আগেই অ্যাটম বোমাকে নিষ্ক্রিয় করা তাঁর মতে অসম্ভব নয়। কিংবা বলেছেন, “ধ্বংসকারী সাংঘাতিক পদার্থ যেমন আছে তার উল্টোটাও আছে যাতে নিকেশ না হয়। যেমন ধর, ইউরেনিয়াম আছে। সোডিয়ামের তার ওপর কেমন প্রতিক্রিয়া তা ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখতে হয়। .... ইউরেনিয়াম আছে। তার পাল্টাটাও আছে আমরা জানি না। রাশিয়া খুব উন্নতি করেছে।..... সবই তো শব্দ থেকে হয়।”
অ্যাটম বোমের প্রতিক্রিয়া বড় মারাত্মক। বিস্ফোরণের সময় নির্গত ভয়ঙ্কর গামা রশ্মি কোষের ‘জেনেটিক’ গঠনকে পরিবর্তন করে। ফলে, পরবর্তী প্রজন্মে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হয়। হিরোশিমা নাগাসিকিতে আজও বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম অব্যাহত।
অ্যাটম বোমার প্রতিক্রিয়া নিরুদ্ধ করার জন্যে ঠাকুর “থৈকল” নিয়ে গবেষণার কথা বলেছেন। থৈকল আসামের দিকে বেশী পাওয়া যায়। থৈকলের বৈজ্ঞানিক নাম Clerodedrum Multifforum। এটা একটা সূত্র বা (Clue) কেমনভাবে কী করে তা হবে,- সে দায়িত্ব আমাদের। ঠাকুরের এই কথার মধ্যে - লুকিয়ে আছে বিজ্ঞানের এক নতুন আবিস্কারের সম্ভাবনা।
#পদার্থ-পরমাণু-শক্তি
#শ্রীশ্রীঠাকুরের_আলোকে_বিজ্ঞান
#thakurear_Aloke_bighean
তৃতীয় সংস্করণ
#মণিলাল_চক্রবর্তী
https://www.amritokatha.in/
https://www.facebook.com/Amritokathaa
10