* plasmic body (আত্মা),........
* জাতিস্মর(পূর্ব জন্মের কথা যারা মনে রাখতে পারে)....
* ঠাকুরের পূর্ব জন্মের কথা........
* ঘোড়ার পিঠে চাবুক মারতে নাকি শ্রীশ্রীঠাকুরের পিঠে দাগ পড়ে গিয়েছিল, তার কারণ
* night pollution (স্বপ্নদোষ)
২৪ শে আশ্বিন , বুধবার , ১৩৪৬ ( ইং ১১/১০/১৯৩৯ ) শ্রীশ্রীঠাকুর
বাঁধের পাশে খড়ের ঘরে বসে । এক নেপালী মা এসে শ্রীশ্রীঠাকুরকে বললেন
আমাদের ঘর ( অর্থাৎ অতিথিশালা ) ছেড়ে দিতে বলছে , আমি এখন কোথায় যাই ?
শ্রীশ্রীঠাকুর সহাস্যবদনে উত্তর করলেন — এখন বহুলােক আসবে যে , ওখানে " তাের থাকতে কষ্ট হবে , তুই একটা ব্যবস্থা করে নে ।
মা - টি নাছােড়বান্দা হ'য়ে বললেন — আমি কোথায় কী করব , আপনি একটা “ ঠিক করে দেন ।
শ্রীশ্রীঠাকুর — তুই - ই পারবি , তুই খুব ভাল পারবি , তুই যা ’ পারবি , আর কেউ তা পারবে নানে , খুজে বের করে ফেল ।
শ্রীশ্রীঠাকুরের বলার ভঙ্গীটাই এমনতর যে সেই মা - টি এই দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে চ'লে গেলেন যে তার দ্বারা সবই সম্ভব ।
সুরেনদা ( ভৌমিক ) ব'লে এক ভদ্রলােক Jaundice- এ ( পাণ্ডুরেগে ) ভুগে ভূগে
অস্থিচর্মসার হয়েছেন । কয়েকদিন ধরে আশ্রমে থেকে চিকিৎসিত হচ্ছেন । তিনি
কাছে আসতেই শ্রীশ্রীঠাকুর উল্লাসভরে বলে উঠলেন — আরে ! তুই তো ভাল হয়ে
গিয়েছিস , আগের চেয়ে চোখের হলদে - ভাব কত কমে গেছে ।
উপস্থিত সবাইকে জিজ্ঞাসা করলেন — কি বলিস , অনেকটা ভাল না ?
সকলে বললেন — হ্যা ।
দেখতে
- দেখতে সকলের চোখের সামনে তিনি যেন অনেকখানি চাঙ্গা হয়ে উঠলেন । উক্ত
দাদার পেট থেকে নানারকম পােক পড়ে , তাই শ্রীশ্রীঠাকুর পায়খানায় রীতিমতাে
কেরােসিন তেল দিতে বললেন , যাতে উড়ো - পােকাগুলি অন্যকে আক্রমণ না করে ।
আভিজাত্যবােধ - সম্পর্কে শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন - আমাদের ভরদ্বাজ বড়
Physicist বা Chemist ( পদার্থবিদ বা রাসায়নিক ) হ'তে পারেন , কিন্তু তিনি
প্রধানতঃ ঋত্বিক , সেই ground- এ ( ভিত্তিতে ) দাড়িয়ে তার সবকিছু । তিনি
যাই হােন না কেন , তার উষ্ণীষ ও মেখলা তিনি ত্যাগ করেননি । ঋত্বিকের
পােষাকটা বড় পবিত্র , সাদা ধবধবে চাদর ও ফতুয়া গায়ে দিয়ে যখন একটা লােক
দাড়ায় — যেন দেবতার মতাে মনে হয় ।
২৫ শে আশ্বিন , বুধবার , ১৩৪৬ ( ইং ১২/১০/১৯৩৯ )
জাতিস্মরদের খবর নিয়ে শ্রদ্ধেয় সুশীলদা ( বসু ) আজ আশ্রমে ফিরে এসেছেন ।
সুশীলদা শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে সব ঘটনা বিস্তারিত বলছেন । সব , ঘটনা শুনে
ঠাকুর যেন আহলাদে আটখানা হয়ে পড়ছেন ।
কথায় - কথায় সুশীলদা বললেন— —দুই জন জাতিস্মরের কোষ্ঠী দেখলাম তারা যে - দশায় মারা গেছে , ঠিক সেই দশাতেই জন্মগ্রহণ করেছে ।
শ্রীশ্রীঠাকুর ও গোপালদা ( মুখোপাধ্যায় ) উল্লাস - সহকারে বললেন — তাই নাকি , আমরা আগে যা অাঁচ করেছিলাম তাই তো হয়েছে ।
শ্রীশ্রীঠাকুর — গােপাল ! দেখ তো দেখি ভাল করে , অনেক আগেই তো তোকে এ - কথা বলেছিলাম ।
শ্রীশ্রীঠাকুর
বলতে লাগলেন — সবই তো হলো , কিন্তু অদিত কথা তো বোঝা গেল না । কেমন করে
এটা সম্ভব হয় সেইটেই তো কথা । জগতে এই - ই তাে problem ( সমস্যা ) , এত
বড় problem ( সমস্যা ) অার কিছু নেই— অর খুব যে অসাধারণ একটা - কিছু তাও
তাে মনে হয় না । তুকটা যদি কোন ভাবে বের করা যায় — তাহ'লে তো কাম ফর্সা ।
এইটে হলে মানুষের সব হয়ে যায় — যা পাওয়া যায়নি তার জন্য আর চিন্তার
কারণ নেই , conscious entity ( চেতনসত্তা ) তাে রইলই , beyond- কে invade
করা ( অপ্রাপ্তকে পাওয়া ) কঠিন কিছুই নয় ।
সুশীলদাকে
বললেন — আপনি কাল থেকে সব জায়গায় চিঠি লিখতে সুরু করেন । Buddhist
meditation ( বৌদ্ধমতে ধ্যানের পদ্ধতি ) বইটা ( এই বইতে নাকি পূর্বজন্মের
স্মৃতি উক্তি করবার পন্থার নির্দেশ আছে ) খোঁজ করুন । সুশীলদা একজন সাধুর
কথা বললেন , তিনি গাছের পাতা খেয়ে জীবন ধারণ করেন ।
শ্রীশ্রীঠাকুর— আমরা তাে খাওয়া নিয়ে কত বাড়াবাড়ি করি , অথচ কত সহজে খাদ্যের সমস্যা মেটান যায় ।
শ্রীশ্রীঠাকুর যেন আজ মেতে গেছেন , বার - বার সুশীলদাকে ডাকছেন , একই কথা বারবার শুনছেন , সবাইকে ডেকে শোনাচ্ছেন ।
সন্ধ্যাবেলায় সুশীলদা পাপাজীর মৃত্যুর পর নরদেহে পুনরাবির্ভাবের বৃত্তান্ত বর্ণনা করছিলেন ।
শ্রীশ্রীঠাকুর — তাহলে অতিবাহিক দেহ ছাড়া আর কিছু নয় ।
প্রফুল্ল — অাপনার নাকি পূর্বজন্মের বৃত্তান্ত মনে আছে ?
শ্রীশ্রীঠাকুর
— কি জানি , তা কল্পনা কিনা বুঝতে পারি না । তবে যেন । স্পষ্ট মনে হয় ,
আমি আর কৰ্ত্তমা নদীতে একটা নৌকোয় বেড়িয়েছি — চারিদিকে কত কাছিম ।
কৰ্ত্তামাকে এ - কথা জিজ্ঞাসা করেছি — কর্ত্তামা আমার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন
। অামার মনে পড়ে — এক সময় পাহাড়ের পাদদেশে ছিলাম , একটা পাথরের উপর আমি
বসতাম , সামনে দিয়ে পূর্ববাহী ছোট নদী বয়ে যেত , সেখানে লাল - লাল
সুন্দর পথ , আমার একটা বৌ ছিল , সে আমাকে খুব ভাল বাসত , এখন গেলে সে যেন
এখনও আমাকে চেনে । * * * * এই জন্মের কথা মনে হয় , যেন ভূমিষ্ঠ হয়েছিলাম
একটা ঘরে , সেখানে মিটমিট করে আলাে জ্বলছিল — মা বলেছেন যে ঠিক ঐ রকমই নাকি
হয়েছিল । কী বোধ করি , সব real ( সত্য ) মনে হয় — অচানক কত কথা মনে জাগে
, আগে বলতাম না , এখন দুই - একটা বলি ।
Ecto - plasmic body ( কারণ - দেহ ) -সম্বন্ধে আবার কথা উঠলাে ।
শ্রীশ্রীঠাকুর— Germ - plasm ( জনন - কোষ ) থেকেই তাে body ( শরীর ) ,
তার beyond- এ ( অতীতে ) যে body ( দেহ ) তাই । Gaseous ( গ্যাস ) জিনিসটা
যখন liquid ( তরল ) হয় , steam ( বাষ্প ) যখন condensed ( ঘনীভূত ) হ'য়ে
vapour- এর ( জলকণার ) রকমে আসে , তখন আমরা form ( আকার ) -টা দেখতে পাই ।
Ecto - plasmic body ( কারণ - দেহ ) -টাও তাই খুব fine matter- এর (
সূক্ষ্ম পদার্থের ) composition ( সংমিশ্রণ ) ছাড়া আর কিছু নয় ।
প্রফুল্ল — শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণদেবের মৃত্যুর পর স্বামিজী তো তাকে বহুবার দেখেছেন ।
শ্রীশ্রীঠাকুর — স্বামিজী হয়তাে দেখতে পারেন , কি আর একজন হয়তো
দেখতে পারে — কিন্তু environment- এর ( পরিবেশের ) সকলে যদি স্বাভাবিকভাবে
না দেখতে পারে তাহলে কী হলো ? আমার রকমটাই এইরকম যে , concrete ( বাস্তব )
না হলে আমার কিছু ভাল লাগে না । যদি কোন instrument ( যন্ত্র ) -এর মধ্যে -
দিয়ে কিংবা অন্য কোনভাবে environment- এর ( পারিপাশ্বিকের ) সকলে মিলে
বোধ করতে না পারি — তাহ'লে খুশি হই না । তাই , আমার কথা গুলির মধ্যে বোধহয়
Philosophy , Art , Religion— সবকিছু Science- এ merge করে গেছে ( দর্শন ,
কলা , ধর্ম — সবকিছু বিজ্ঞানের সাথে মিলে আছে ) ।
শ্রীশ্রীঠাকুর অমর ভাইকে ( ঘােষ ) গ্রামের এক ভদ্রলোকের বাড়ীতে একমণ চাল সংগ্রহ করে দিয়ে আসতে বললেন ।
বললেন - চালটা যেন ভাল হয় । শ্রীশ্রীঠাকুরকে বিশেষ একটি vision (
দর্শন ) -সম্বন্ধে প্রশ্ন করাতে তিনি বললেন — আমি একদিন কাশীপুরের রাস্তা
দিয়ে আসছি — দেখছি , চারিদিক জ্যোতিঃতে ছেয়ে গেছে , চারিদিকে সব
দেবদেবীরা গান করছেন — দুটো line ( পঙক্তি ) অাগে আমার মনে ছিল , অনেকবার
বলেছিও — এখন ‘ স্বাগতম , এই পদটা আমার শুধু মনে পড়ে । রাস্তা দিয়ে হাটতে
হাটতে একদিন বেতবনের মধ্যে ঢুকে গিয়েছিলাম — কোন খেয়াল থাকত না । চলছি
তাে চলছি — পথ - ঘাট না দেখে সিধে হাঁটতাম — কেউ বলে দিতে চেতনা আসতো —
এখনও অনেক সময় মনে হয় , আমিই বুঝি গাছ হ'য়ে আছি ।
ঘোড়ার পিঠে চাবুক মারতে নাকি শ্রীশ্রীঠাকুরের পিঠে দাগ পড়ে গিয়েছিল ,
তার কারণ জিজ্ঞাসা করাতে বললেন - একজনকে হু’চোট খেতে দেখে যেমন আমরা ব্যথা
বোধ করি — এও সেই ধরণের । Feeling ( বােধ ) -টা এত strong ( তীক্ষ্ণ ) যে
without physical stimulus nerve irritated হয় ( ভৌতিক উত্তেজনা ছাড়াও
স্নাযু় ; উত্তেজিত হয় ) , যেমন night pollution ( স্বপ্নদোষ ) —মনে হয়
যেন sexual intercourse ( যৌন - সংশ্রব ) হচ্ছে , কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তা
হয় না , তবু semen discharged ( বীর্যপাত হয় । যারা খুব ভালভাবে
স্বস্ত্যয়নী পালন করেন , তারা যদি স্বস্ত্যয়নীর ফুল - টুল দিয়ে কবচ করে
দেন , নাকি খুব ফলপ্রদ হয় ।
শ্রীশ্রীঠাকুর এই সম্পর্কে বললেন — বোধহয় একটা vital push ( জীবনীয় উদ্দীপনা ) দিতে পারে তারা ।
#Alochona_prosonge_part_1
#আলোচনা_প্রসঙ্গেপ্রথম_খণ্ড
ষষ্ঠ সংস্করণ
10