কৰ্ম্ম :-
করতে-করতে যে-জন যায়,
কৃপার আশিস্ সেই তো পায়। ১।
শুনলে অনেক-করলে না,
ঠক্লে কত-বুঝলে না। ২।
হেলায়-ফেলায় করলে কাজ
কাজের মাথায় পড়ে বাজ। ৩।
না-করলে বাড়ে না গুণ,
কেবল বাজে কথার ঝুন। ৪।
যা’-যা’ লাগে প্রয়োজনে,
সে-সব রেখো যথাস্থানে। ৫।
কাজের কী ধরণ?-
বুঝে-সুঝে শুভ-সুন্দরে
ত্বরিত নিষ্পাদন। ৬।
কৰ্ম্মটাতে নাম্ আগে তুই
জ্ঞানের চর্চ্চার সাথে-সাথে,
অনুশীলনী তৎপরতায়
হ’রে কুশল দক্ষ তা’তে। ৭।
তথ্য শুনে কী হবে তোর!
তত্ত্ব তো’তে ব’র্ত্তে উঠুক,
দেখে-ক’রে-বুঝে’ তত্ত্ব
বাস্তবতায় বোধে আসুক। ৮।
অদৃষ্ট ভেবে কী হবে তোর
দৃষ্ট যা’ তা’র করলি কী?
দৃষ্ট যা’ তা’র করলে সুসার
অদৃষ্ট কি হয় মেকী? ৯।
আগ্রহটাকে ঊর্জ্জী ক’রে
ঐটি ক’রে কৃতি-আধান,
সার্থকতায় সব বিনিয়ে
বিহিত নিষ্পাদনে আন্। ১০।
বিবেক দিয়ে বিচার ক’রে
দেখে-শুনে সকল দিক্,
ধরবি যা’ তুই করবি সেটা
ঠ’কে না হয় বলতে-ধিক্। ১১।
বুঝে-প’ড়ে ঠিক ক’রে নাও
মাটি শুদ্ধ সবে
সমীচীন যা’ ক’রে চল
দীপ্ত অনুভবে। ১২।
যে-সুবিধা যোগ্যতাকে
ঢিলে অবশ করে,
সে-সুবিধায় লোভ করিস্ না
ডাইনী ওতে ধরে। ১৩।
অন্তরেতে চিন্তা অঢেল
বাস্তবে নাই রূপ,
আর কিছু নয়-ওগুলি সব
শুধুই ভাবের কূপ। ১৪।
চরিত্র হেন ধন থাকতে
ভাগ্যের অভাব কী?
আলস্য হেন গুণ থাকতে
দুঃখের অভাব কী? ১৫।
সুযোগ যদি হারাস্ কেবল
অবহেলা আর অলসতায়,
অনুকম্পা অবশ হবে
জাগবে কি আর সৎ দীপনায়? ১৬।
আলোচনা শুনলি কত
নিদেশ কথাও নয়কো কম,
অনুশীলন তো করলি না আর
বাক্য-বাগীশ বেকুব সঙ্। ১৭।
বাঁচা-বাড়ার তপ-তালিমে
নিখুঁত চলবি কবে?
ব্যর্থ আশা, ব্যর্থ আসা-
টানছ বোঝা ভবে। ১৮।
ধৃতি-কথা বহুত জান
কর না কিছু কাজে,
এমন জানায় কী-ই বা হবে
জানাটা শুধু বাজে। ১৯।
ভাল করলেও মন্দ ফলে
মন্দে ভাল ফল,
ঘটলে এমন দেখিস্ সে ফল-
প্রায়ই দুর্ব্বল। ২০।
অভিনয় তোর যেমনতর
এ দুনিয়ার নাট্যশালায়
উচ্ছলতাও তেমনতর
সাঙ্গোপাঙ্গও তেমনি দাঁড়ায়। ২১।
হাজার ভড়ং করিস্ না ক্যান্
করণটাকে দিয়ে বাদ-
রকম-সকম যা’ই করিস্ না,
পূরবে নাকো মনের সাধ। ২২।
ধরছ করছ অশেষ-ভাবে
নিষ্পাদনে পারছ না,
বুঝ না কি-পারায় গলদ
তেমন তুকে চল্ না! ২৩।
গা-ঢিলেমি আল্পনা
সে-সব পুষে রাখিস্ না,
কৃতিমুখর আগ্রহটা
লাগাতে কাজে ভুলিস্ না। ২৪।
দায়িত্ব নিলে, ভরসা দিলে
করলে নাকো কাজে,
বুঝলে না কি, করলে কী পাপ-
সবই তোমার বাজে? ২৫।
শুভকর্ম্মের কথা দিলে
করবি সেটা অচিরাৎ,
শুভ কথা ভাঙ্গলে পরে
চলন হবে চিৎপাত। ২৬।
যা’ আছে কাজ সবগুলিকে
ত্বরিত কর নিষ্পাদন,
নইলে তুমি কোন্ ফাঁকেতে
হারিয়ে ফেলবে শুভক্ষণ। ২৭।
ভেবে-চিন্তে হিসেব ক’রে
করার যা’ সব ক’রেই যাস্,
ধৃতিমত্ত কৃতি নিয়ে
নন্দনাতে আরো ধাস্। ২৮।
পরিণামটি চিন্তা ক’রে
যা’ করবার করিস্ তা’,
দেখিস্ যেন বেকুব চলায়
ক্ষুব্ধ না হয় সফলতা। ২৯।
কোন-কিছু করতে গেলেই
কেন করবে ভেব’ তা’,
করলে পরে কী ফল হবে
না করলে কী হবে না! ৩০।
নিষ্ঠা যদি চেষ্টাহারা
তেষ্টা তা’র কোথায়?
স্বার্থসেবী তৎপরতায়
জীবন কেটে যায়। ৩১।
প্রেষ্ঠজনা চেলেই তো দাও
কৰ্ম্মভৃতি সাধো না,
কোথায় কেমন কী ক’রে হয়
হয় না তা’তে বোধনা। ৩২।
অন্যে যেটা করতে নারে
পারিস্ তো তা’ তুই-ই কর্,
শুভের পথে চ’লে ক’রে
শুভ যা’ তা’ই আগলে ধর্। ৩৩।
ক’রে-ক’রে চ’লে-চ’লে
করতে থাক্ তুই এস্তামাল,
হাতে-কলমে বুঝে-ক’রে
পারবি চলতে ধ’রে তাল। ৩৪।
‘যা’ করতে যা’-যা’ লাগে
হাতের কাছেই রাখিস্ তা’,
অব্যবস্থ বেকুব চলায়
কাজটা যেন না হয় বৃথা। ৩৫।
যে জিনিস তোর লাগবে পরে
প্রস্তুত রাখিস্ আগেই তা’,
ক্ষিপ্র তালে কর্ সমাধান
আসবে কমই ব্যর্থতা। ৩৬।
কী-কাজ কত এগিয়ে রাখলে
সমাধানেও সুবিধা হয়,
সুহিসাবে ঠিক কর তা’-
নিষ্পাদনে ক্ষিপ্র জয়। ৩৭।
দক্ষ-চতুর নিষ্ঠা নিয়ে
হাত দিবি তুই কাজের গায়ে,
জোগাড়-টোগাড় সব ক’রে তা’র
কর্ সমাধান ক্ষিপ্র পায়ে। ৩৮।
অনেক কিছু লুকিয়ে থাকে-
হ’য়ে কাজের অন্তরায়,
ক্ষিপ্র কর্ তুই তা’র সমাধান
অন্ততঃ যা’ নইলে নয়। ৩৯।
ত্বরিত কাজের করতে জোগাড়
যা’-যা’ করলে হবেই তা’,
নির্ব্বাহ তা’ চাই-ই করা
তবেই থাকবে সততা। ৪০।
ত্বরিত্ব করতে যা’ হবে তোর
জানার পথে তা’ই করিস্,
খুঁজে-পেতে করতে গেলে
হয় না ত্বরিত তা’ বুঝিস্। ৪১।
পুঙ্খানুপুঙ্খ ক’রে দেখ
কোথায় কেমন হয়,
মিলিয়ে সেটা বাস্তবেতে
করলে-প্রায়ই জয়। ৪২।
শুভ চাওয়া শুভ করা
সত্তারই এই ধৰ্ম্ম,
শুভর পথে চলতে থাকা
এইতো বিহিত কৰ্ম্ম। ৪৩।
শুভ কিছু করতে গেলেই
পণ্ড হওয়ায় রাখিস্ চোখ,
পণ্ডতাকে নিরোধ ক’রে
ফুটাস্ নিষ্পাদনের ঝোঁক। ৪৪।
সব ব্যাপারেই নজর রাখিস্
শুভ আসে কোন্ পথে,
দক্ষ-চতুর বোধ নিয়ে তুই
থাকিস্ চলিস্ সেই মতে। ৪৫।
কর্ত্তব্য কিছু এলে মনে
বোধ-বিবেকী বিবেচনা-
বাস্তবতায় সাবুদ হ’লে
তবে তো হয় তা’র ঊর্জ্জনা! ৪৬।
সৎ কিছু যা’ করবে ব’লে
রেখেছ অন্তরে-
ক’রোই ত্বরিত নিষ্পাদন
নইলে আপদ ধরে। ৪৭।
সহজ শুভ যা’ দেখবি তুই
করবি সেটা তেমনি তোড়ে,
শুভের আশিস্ তেমনি পাবি
ধন্য হ’বি তেমনি ক’রে। ৪৮।
করবি কী তুই কাজ-
ক্ষিপ্রতাহীন নিষ্পাদনায়
প’ড়েই থাকে বাজ। ৪৯।
ত্বরিত যদি না করিস্ কাজ
প্রতিষ্ঠা তোর হবে না,
সময় যদি যায়ই ব’য়ে
প্রয়োজনে লাগবে না। ৫০।
তোমায় যেটা বলা হ’ল
শুনলে নাকি, বুঝলে নাকি!
বুঝে-সুঝে ঠিক যদি হয়-
কাজে তৎপর হ’লে নাকি!
তৎপরতা বিদায় দিলে
কৃতিনিষ্ঠা থাকবে কি?
এলোমেলো গোল পাকিয়ে
তৎপরতায় হবে মেকী। ৫১।
প্রয়োজন তোর যখনই হবে
মূর্ত্ত করিস্ তা’ কাজে,
বাস্তবতায় হাজার করা
নইলে হবে সব বাজে। ৫২।
যখন যেটি করণীয়
ক’রে রেখ ঠিক মতন,
এমনতর সমাধানে
সার্থকতায় ভরবে জীবন;
যেথায় যা’-যা’ বলতে হবে
ভেবে ক’রো সমাধান,
বিশেষ স্থানে বিশেষ ভাবে
করণীয়ের ক’রো বিধান;
নিষ্ঠানিপুণ উচ্ছলাতে
সাত্বত তেজ রইবে যেমন,
সুসতর্ক সমীচীনে
করণীয় যা’ করবি বরণ;
করণীয়কে করলে হেলা
ফেলবে ঠেলে তা’ তখনি,
কৃতির নেশা ভেঙ্গেই যাবে
হেলা করবি তা’ যখনি। ৫৩।
কল্যাণপ্রসূ যা’
করণীয়ই তা’,
না করলেই হয় বিড়ম্বনা
ফলে ব্যর্থতা। ৫৪।
খুঁজে-পেতে সুঝে-সেধে
করণীয় যা’-যা’ তোর,
অভ্যস্ততায় স্বতঃ করায়
কর্ না চলায় জীবনভোর। ৫৫।
কী বা তোমার করণীয়
না করলে কী হ’তে পারে,
সব সময়ে নজর রেখো
করণীয় যা’ করতে তারে;
করবে না যা’ সেই ফলটি
বেকুব বোধে থেকে তোমার,
নষ্ট করবে জীবন-গতি
নষ্ট করবে চলন তোমার;
করণীয় যা’ সমাদরে
করবেই তা’ নিষ্ঠাসহ,
ঐ নিষ্ঠাই শ্রেয়-নিষ্ঠায়
করবে তোমায় সব সুবহ। ৫৬।
দেখিস্ শুনিস্ বুঝিস্ করিস্
করবার কিছু থাকলে তোর,
নিষ্পাদনে ক্ষিপ্র হ’বি
আয়ওতায় র’বি ভোর। ৫৭।
দেখে-শুনে বুঝে-সুঝে
আয়ত্ত ক’রে সমীচীন,
প্রয়োগরূপ তা’র জেনে নিয়ে
রাখিস্ তা’রে তোর অধীন। ৫৮।
দেখবি-শুনবি বুঝবি যা’ সব
অনুকম্পী বোধটি নিয়ে,
বাস্তবে যা’ করবি রে তুই
করিস্ ক্ষিপ্র হৃদয় দিয়ে। ৫৯।
ফন্দি আঁটার চিন্তা তোমার
সমাধানে নিখুঁত যত,
মন্দ এড়িয়ে সুপ্রতিষ্ঠা
কর্ম্মে তোমার ফুটবে তত। ৬০।
নিখুঁত করার নিষ্পাদনে,
সার্থকতার উঠুক রোল,
দিগ্বলয়ের অটুট ধৃতি
কৰ্ম্মনিপুণ ক’রেই তোল। ৬১।
বুঝের ফেরে যা’ই আসুক না
করবি না তা’ ঠিক না হ’লে,
বাস্তবতায় মিলবে যেটা
করলে তা’তে শুভ ফলে। ৬২।
যা’র কথাতে যেমন সাড়া
ভাববৃত্তি তোমাকে দেয়,
সেই তালিমই অন্তরে তোমার
কৃতি-সাড়ায় নিয়োজয়। ৬৩।
সত্তা-চৰ্য্যায় সঙ্গতি রেখে
বুঝে-সুঝে জ্ঞানালোকে,
কর্ত্তব্য ব’লে বুঝবি যেটা
করবি দক্ষ নিপুণ তুকে;
সত্তা-সঙ্গতি বজায় রেখে
করণীয় যা’ করবি তা’,
ঐ হিসাবটা বরবাদ হ’লে
ঠকবি কিন্তু করবি যা’। ৬৪।
সব জিনিসটা চিন্তা কর
বোধে আন বাস্তবে,
কেমন ক’রে কী করলে কোথায়
সাত্বত-চর্য্যায় সম্ভবে;
দূরদৃষ্টির ঝলক দিয়ে
সপর্য্যায়ে দেখে নিও,
করা যদি ভালই হয় তা’
বিহিতভাবে ক’রে যেও;
অকরণীয় দেখবে যেটা
শুধু-শুধুই করবে কেন-?
এমনতর চিন্তা-চর্য্যায়
এগুবে দূরদৃষ্টি জেন’। ৬৫।
কৃতি-কৌশল না-জানলে কি
অনুশীলনে দক্ষ হয়?
অনুশীলনের মাঝেই কিন্তু
কুশল-কৌশল লুকিয়ে রয়। ৬৬।
সাবধান হ’য়ে করবি সব
আপদ্ না হয় যা’তে,
আপদ-বিপদ্ ব্যাঘাত হানে
কৃতার্থতার মাথে;
যা’-কিছু তুই করতে যাস্ না
সাবধানতা ডেকে রাখিস্,
সাবধানতায় সঙ্গী ক’রে
সুকৌশলে করিস্ সাধিস্,
সতর্কতা বজায় রেখে
দেখে-শুনে বুঝে চলিস্,
বেকুব চলার বেঘোর তালে
দেখিস্ যেন কভু না পড়িস্। ৬৭।
যা’ করিস্ তুই, সার্থকতায়
সব রকমে কুড়িয়ে আন্,
সার্থকতার সম্পাদনে
নিষ্পাদনে রেখে টান। ৬৮।
কোথায় কেমন করবি কী তুই
বোধে সেটা এঁচে নিস্,
ধরিস্-করিস্ তেমনিভাবে-
সার্থকতায় উচে দিস্। ৬৯।
কর্ম্মগুণে অর্থ আসে
ভাল কিংবা মন্দই হোক,
ভালর পথে ভালই তো হয়
মন্দে বাড়ায় মন্দ ঝোঁক। ৭০।
লক্ষ্যেতে তুই সার্থক হ’লে
অর্থ-অভাব থাকবে না,
অর্থ ব্যর্থ না হ’লে তোর
সার্থকতা টলবে না। ৭১।
ধরবি যেটা করবি সেটা
আপূরণী উদ্যমে,
নিষ্পাদন তো করাই শ্রেয়
আগ্রহেরই মাধ্যমে। ৭২।
যে-সময়েই ধরিস্ যে-কাজ
করবি ত্বরিত নিষ্পাদন,
যেন জোগান দিতে পারিস্
যখন সেটার প্রয়োজন। ৭৩।
নিষ্পন্নতায় তৃপ্তি আসে
চিত্ত ফোটে উচ্ছলায়,
কৃতির সাহস ক্রমেই বাড়ে
স্থৈর্য্যশীল হয় মননায়। ৭৪।
যে কাজটি ধরবি যখন
করবি তেমনি উদযাপন,
উদযাপনের আত্মপ্রসাদ
নিয়ে সব কর্ পর্য্যালোচন। ৭৫।
ধর, ধর, ধর,
কর, কর, কর,
ধরবে যেটা
করবেই সেটা,
ব্যর্থতা না হয় দড়। ৭৬।
করবে যেমন
হবেও তেমন;
যে যেমন বয়
সে তেমন পায়। ৭৭।
করলেই তবে হয় কিন্তু
করাটাই তো হওয়া বাড়ায়,
হওয়াটারই বিনায়নে
ধৃতিটা তো স্বতঃই চারায়। ৭৮।
সত্তাভিষিক্ত নিষ্ঠা-শ্রদ্ধা
রাগচৰ্য্যী সন্ধিৎসা নিয়ে,
করবে যেমন বাড়বে তেমন
নিদেশ পেলে’ হৃদয় দিয়ে। ৭৯।
বাড়ী-পরিবেশ-অফিস্-চর্য্যা
তোমার ভাগে চাপবে যেটা,
নিষ্পাদনে ক্ষিপ্র রাখিস্
দক্ষ ক’রে সে-অভ্যেসটা। ৮০।
যে সময়ে ধরলি যে-কাজ
করলি যখন নিষ্পাদন,
এর মাঝেতে যেটুকু সময়
দক্ষতার তা’ই পরিমাপণ;
কাজ-ধরা আর নিষ্পাদনের
মাঝখানেতে যেটুকু ফাঁক,
দক্ষ তুমি তেমনতর
তেমনতরই কৃতিরাগ। ৮১।
সৎসন্দীপী যে-কাজই হোক
যা’তে তুমি রও প্রবৃত্ত,
তা’র সমাধান না ক’রে তুই
হোস্নে কভু তা’য় নিবৃত্ত। ৮২।
যখন যেটা করা উচিত
ঠিক জানিস্ তা’ করাই ভাল,
নইলে করণ ফস্কে গিয়ে
ধরণটাও তোর হবে কালো। ৮৩।
যখন যেটা করা উচিত
তখনই সেটা ক’রে দ্যাখ,
সমাধানটি কেমন আসে
বাড়ে কেমন কাজের ‘ন্যাক্’। ৮৪।
সময়মত বাস্তবায়ন
করতে যদি নাই পারিস্,
সময়কে কেউ রুখতে পারে?
তাই বুঝে তুই চলিস্-ফিরিস্। ৮৫।
সমীচীনভাবে কাজের ফাঁকে
অন্য কাজ যদি ধ’রেই থাকিস্,
ভালই তো তা’-সুসমাধান
সবারই যা’য় করতে পারিস্। ৮৬।
ঈক্ষণাটা দক্ষ ক’রে
আয় তো নেমে কাজে,
যেমন করায় যা’-যা’ লাগে
লাগ ফেলে যা’ বাজে। ৮৭।
বলা-করার যোগাযোগ
যেমনই হয় মিষ্টি,
ভাগ্যদেবীও তেমনতর
করেন পুণ্য দৃষ্টি। ৮৮।
না ক’রেই যা’রা পাওয়ার লোভে
হ’য়ে থাকে মুহ্যমান,
ভাগ্যদেবী তা’দের হ’তে
ক’রেই থাকে প্রস্থান। ৮৯।
করা-চলা যেমনতর
ফলও হবে তেমনি,
বিধির বিধান বিধায়িত
হ’য়েই আছে সেমনি। ৯০।
যেমনতর কর্ম্মপটু
সিদ্ধ হবে তা’তেই,
কৰ্ম্মানুগ ফলটি জেনো
সবখানেতে খাটেই। ৯১।
করবে যেমন, চলবে যেমন-
পাবেও তেমনি ঠিক মেনো;
দুষ্টকৃতি ধৃতিহারা
সুকৃতি সৎ-দীপ্ত জেনো। ৯২।
যেমনতর কর্ম তোমার
ফলও পাবে তেমনি,
কৃতিচর্য্যী স্মৃতিলেখায়
পটুত্ব যা’র যেমনি। ৯৩।
অপকর্ম্মের বেদনা যখন
ব্যথা নিয়ে আসে,
‘ঠিক ক’রেছি’-ব’লে তখন
ঢাকা দিতে হাসে। ৯৪।
যখন যেদিন করবি যা’ তুই
ঠিক সময়ে ক’রে রাখিস্,
(এই) ক’রে রাখায় কত আরাম
কাজের সময় মিলিয়ে দেখিস্। ৯৫।
কী-সময়ে কী বা ক্ষণে
আবহাওয়ার কী-অবস্থায়,
তোমার পক্ষে কী-কাজ শ্রেয়
বুঝে-সুঝে করবি তা’য়। ৯৬।
শরীর-মনের স্বস্তি রেখে
কৃতি নিয়ে চলতে থাক্,
কৃতির পথে বেঘোর হ’য়ে
শুনিস্ নে কো দুষ্ট ডাক। ৯৭।
শরীর জাগে মনও জাগে
বোধ জাগে তোর যেমন কাজে,
রইতে সজাগ তা’ই ভাল তোর,
এ যা’তে নয় তা’ই তো বাজে। ৯৮।
কাজের মূলধন ঠিক জানিস্ তুই
আগ্রহ আর তীক্ষ্ণ আবেগ,
যা’ থাকলে তোর বাড়বে শক্তি
সমাধানে হ’বি সবেগ;
কর্ম করার তুকই যে রে
আগ্রহ-আবেগ বাড়িয়ে নেওয়া,
ভাববৃত্তির অনুরঞ্জনায়
কাজে’ তাহার মূর্ত্তি দেওয়া;
বোধ-উপায়ে মিতালী হ’য়ে
সরঞ্জামে যতই জোটে,
কৰ্ম্ম-আবেগ, পরিণয়ন
তেমনতরই কাজে ফোটে। ৯৯।
ফলের লোভে যদি কর
চাচ্ছ কী-ফল সেইটি ভাব’,
নিখুঁত চলায় ক’রে-চ’লে
দীপ্ত কৃতিত্* সেইটি লভ;
চাচ্ছ যেটা তা’রই পিছে
শক্ত হ’য়ে লেগে যাও,
লাগার নেশায় করার টানে
উৎসর্জনায় সেইটি পাও;
{*কৃতিতে}
চাওয়াই যদি থাকে কিছু
করতে হবে তা’র মতন,
লাগে যেথায় যেমনতর
জোগাড় দিয়ে ক’রে যতন;
‘চাই-চাই’-বুলি চেঁচিয়ে শুধু
পাওয়ায় আশা যদি করিস্,
এমন কিছু করতে হবে-
ক’রে সেটা পেতে পারিস্;
চাহিদাটি বাজিয়ে নিয়ে
ধরতে হবে করার তালে,
নিষ্পাদনে নিষ্পন্ন ক’রে
যেমন করা তেমনি ফলে। ১০০।
সৎ-চাহিদার আবেগ নিয়ে
সুকৃতিতে চলবি যেমন,
অবনতি তোর রুদ্ধ হ’য়ে
উন্নতিটি ফুটবে তেমন। ১০১।
যা’ হ’তে চাস্-ক’রে হ’বি
হাতে-কলমে কাজে,
তা’ না ক’রে হ’তে চাওয়া
প্রায়ই কিন্তু বাজে। ১০২।
ইচ্ছা যেমন আবেগ তেমন
তেমনি কৃতিদ্যোতনা,
কৃতিই আনে বাস্তবেতে
ব্যক্তিত্বেরই বর্দ্ধনা। ১০৩।
ভাল-মন্দ কী করেছ
বিচার কর হৃদয় দিয়ে,
সেই ফলনে এঁচে নিও
চলবে কেমন চলন নিয়ে;
করেছ কী তা’ স্মরণ ক’রো
করবে যে কী তা’ও-
কেমন ক’রে করবে সে-সব
ভেবে-চিন্তে নাও;
করেছ যা’-স্মরণ কর
করবে যেটা সেটাও তাই,
কা’তে কেমন কী ফল পেলে
কিসে কী ফল ফলে নাই;
স্মরণ-মনন এমনি ক’রে
জীবন-চর্য্যায় চলতে থাক,
চলার আগেই বুঝে-সুঝে
না খতিয়ে চ’লো নাকো। ১০৪।
সুসঙ্গত অর্থেতে তুই
ভাব যা’-কিছুর পুষ্টি দিয়ে,
চল্ ওরে চল্ উদ্বর্দ্ধনায়
নিষ্ঠাভরা হৃদয় নিয়ে। ১০৫।
কৃতিদেবতা ঐ দাঁড়িয়ে
হাতে নিয়ে পারিজাত,
পারগতা সুষ্ঠু যেমন
পায় সে তেমন আশীর্ব্বাদ। ১০৬।
বেদ-উপনিষদ পুরাণ-ভাগবত
কৃতি-গীতিই গায়,
যেমন করা পাওয়াও তেমন
জীবন তা’তেই ধায়। ১০৭।
যা’-কিছু যা’র ইষ্ট লাগি’
স্ফীত কৃতি-দাপে,
কৃতকৰ্ম্মা এমনই সে
গর্ব্বে ধরা কাঁপে। ১০৮।
ঐশী ধৃতির সম্বেগে যে
যেমন কৃতি-লিপ্ত,
ধারণ-পালন-সম্বেগও তা’র
তেমনতরই দীপ্ত। ১০৯।
নিষ্পাদনী কৃতি যেথা
রাগস্রোতে ভাসে,
ঈশ্বরেরই অবদান তো
ঐ পথেতেই আসে। ১১০।
কৃতিচর্য্যায় জ্ঞান পাবি তুই
বিভব আসবে ছুটে,
ঐশ্বর্য্য তোর অটুট হবে
ধৃতি উঠবে ফুটে। ১১১।
কৃতি বিনা জ্ঞান-মহিমা
ফুটন্ত হয় কোনখানে!
কৃতিহীন জ্ঞান কোথায় আছে
কোন্ কন্দরে, কোন্ স্থানে? ১১২।
মানসা যেমন করবি তুই
চলবি তেমন কৃতি-পথে,
সৎ-আচার আর সদ্-ব্যবহার
বেঁধে নিয়ে তা’রি সাথে। ১১৩।
করাতেই কিন্তু স্বার্থ বটে
ক’রেই কৃতী হয়,
যে করে সে কৃতকর্মা
হয়ই তা’তে জয়। ১১৪।
ঊজ্জনাকে বুক ভ’রে নে
বিক্রমী হ’ কাজে,
নিষ্পাদনী সুসৌষ্ঠবে
কৃতি-মুকুট রাজে। ১১৫।
কৰ্ম্ম যেমন ধৃতিও তেমন
জীবনও তোর তেমনি ধায়,
স্বভাব তেমনি ওঠে ফুটে
চললে কৃতী নাছোড় পায়। ১১৬।
কৃতি যা’দের নিষ্ঠা-নিপুণ
ব্যাপ্তি আসে বাস্তবে,
কৃতি-প্রভু হয় যে তা’রাই
আত্মতৃপ্তির বৈভবে। ১১৭।
চিত্ত যত সদ্ভাবেতে
সুরঞ্জিত হ’য়ে রয়,
কৃতির নেশা বাস্তবেতে
তেমনতরই হয় উদয়। ১১৮।
আশা যা’দের কৃতি-আবেগে
ঊর্জ্জনা-উছল করে না,
নিয়মনী সৎচলন তা’র
অনুশীলনে আসে না। ১১৯।
কৃতির ধুলায় ধূসর হ’য়ে
জ্বালিয়ে বুকে ফাগুন-রাগ,
প্রীতির ফসল গজিয়ে নে তুই
চলবে যা’তে জীবন-যাগ। ১২০।
কৃতি যেমন ঊর্জ্জী যা’দের
ধৃতি-আবেগ নিষ্ঠা নিয়ে,
নিষ্পাদনী অনুশীলনও
আসেই তেমনি নিষ্ঠা ব’য়ে। ১২১।
আসল কথা-বাঁচ, বাড়,
উছল হ’য়ে অনুরাগে,
দীপ্ত কৃতি তৃপ্ত হ’য়ে
নিষ্পাদনে রহুক জেগে। ১২২।
ভাববৃত্তির অঢেল আবেগ
নিষ্ঠানিপুণ ঊর্জ্জনায়,
কৃতির নেশায় তত্তরে কর্
নিষ্পাদনী দক্ষতায়। ১২৩।
যদিও নিষ্ঠা কৃতির স্রষ্টা-
উদ্বোধনায় উচ্ছলা,-
সতর্ক হও! দুষ্ট কৃতি
করেই সে পথ পিচ্ছলা। ১২৪।
বুঝে চলিস্ ওরে পাগল!
ছাগল-বৃত্তি ছেড়ে দিয়ে-
সাত্বতেরই অভিযানে
হৃদয়টিকে বেঁধে নিয়ে। ১২৫।
চলাফেরা খাওয়া-দাওয়া
যুক্ত-দীপন দক্ষতায়,
চলবি-করবি খাবি-দাবি
সত্তা সুষ্ঠু যা’তে রয়। ১২৬।
অনুশীলনে অভ্যাস আসে
অভ্যাস আনে সংস্কার,
ক্রমান্বয়ী এই চলনে
বৃদ্ধিতে হয় জীবন পার। ১২৭।
অনুশীলন আনে করার কৌশল
কুশলকৰ্ম্মা জ্ঞানী হয়,
বাস্তববাদে যে-জন খাঁটি
কৃতি গায় তা’র জ্ঞানের জয়। ১২৮।
নিষ্ঠাপ্রতুল অনুশীলনে
রাখ প্রবৃত্তি এখনও রে,
কৃতি-তপে যা’ লেগে তুই
সার্থক সুন্দর হ’ না রে। ১২৯।
সিদ্ধ হবে যা’তে তুমি
বৃদ্ধি পাবে তা’তেই,
সিদ্ধ হ’য়ে বৃদ্ধি পাওয়া
রয়েছে তোমার হাতেই। ১৩০।
আগেই যা’র করলে মন্দ
তা’রই ভাল করবে আগে,
ভাল করার এই চলনে
পাপস্থালন হয় অমনি রাগে। ১৩১।
সমাধানী প্রবৃত্তি নিয়ে
প্রবৃত্তই যদি হ’য়ে থাকিস্,
ঐ আগ্রহ-ধৃতি-তপায়
কর্ম্মে মুখ্য ক’রে রাখিস্। ১৩২।
কাজের সময় দরদ নেশায়
সতর্ক থেকে সাহায্য করা,
অনুকম্পারই লক্ষণ সেটা
প্রীতিও থাকে তা’তে ধরা। ১৩৩।
রাগ-আবেগের উদ্দীপনায়
যেমন যেটা ক’রে থাকিস্,
ভাববৃত্তির নিয়মন যে তা’ই,
তেমনি ফলই ব’য়ে চলিস্। ১৩৪।
জ্ঞানের কথা বলবি যতই
সে-জ্ঞান কিন্তু কাজের নয়,
কর্ম্মেতে যে উদ্ভব জ্ঞানের
তা’তেই জীবন সার্থক হয়। ১৩৫।
দল ভেঙ্গে দল করিস্ নাকো
সব দলে কর একটা দল,
সাত্বত সেই ধৃতি-প্রসাদে
শিষ্ঠ তপে পাবিই বল। ১৩৬।
কর্ম্মের প্রসাদ জ্ঞানই কিন্তু,
জ্ঞান হ’তে হয় দৃষ্টি খোলা,
চলন-চালন তা’য় নিয়মন
আরোর দিকে হয় উচ্ছলা;
কৰ্ম্ম ছাড়া ধৰ্ম্ম কি হয়?-
ধৃতিতপা হ’তেই হবে,
কৰ্ম্মপথে প্রাপ্তি আসে
প্রাজ্ঞ জীবন পাবি তবে;
নৈষ্কর্ম্ম্য -যোগ তখনই আসে
করণ যখন প্রজ্ঞা আনে-
স্থবির প্রাজ্ঞ তখনই সে
কার্য্য করে নিয়ন্ত্রণে। ১৩৭।
সব মানুষই হীরের ফুল
করণ-দীপ্ত থাকে যদি,
জীবন-স্ফটিক কৃতিচর্য্যায়
দীপ্ত রাখ তুই নিরবধি। ১৩৮।
পৃথক্ পৃথক্ ক’রে জেনে
যুক্ত চলায় ন্যস্ত হ’,
যোগজ্ঞানে যুগিয়ে নতুন
দায়িত্বকে সুষ্ঠু ব’। ১৩৯।
এখনও ওরে, ফিরে দাঁড়া,
কাজে লেগে যা, কর্ সুসার,
ঠকা-জেতার কুটিল পথে
সার্থকতা পাবি দেদার। ১৪০।
দক্ষ সাধু বহুদর্শী যে
হাতে-কলমে যে-জন জানে-
বোধের সাথে মিলিয়ে নিয়ে
চলিস্ তা’দের চলন-টানে। ১৪১।
নির্ব্বাহেরই উপাদানে
নিষ্পাদনী মঙ্গল ঠাট,
কৰ্ম্ম-পূজা অটুট রাখিস
ঠিক রেখে তোর স্থণ্ডিল টাট;
পূজা-পাঠ তুই যতই করিস্
ফুল-চন্দন গঙ্গাজলে,
অনুশীলনী কৌশল ছাড়া
জ্ঞান হবে না কোনও কালে;
সম্বর্দ্ধনী সেবাটি যা’
পূজা কিন্তু তা’কেই বলে,
সেবা-সুন্দর বর্দ্ধনাতেই
আশিস্ পূজার ফলেই ফলে। ১৪২।
চালটি তোমার যেমনতর
চলনও যদি তেমনি,
ভাগ্যদেবীও তোমার কাছে
আসবেন হ’য়ে সেমনি;
চালবাজি তোর শুভ যেমন
চলনও যেমন শুদ্ধ,
সংস্পর্শও তেমনি ক’রে
করবে সবায় বুদ্ধ;
দুনিয়াটা আর কিছু নয়
শুধু একটা চাল,
ভাল-মন্দ যা’র তা’ যেমন
তেমনতরই হাল। ১৪৩।
সৎ-নিষ্ঠা তুই রাখবি বুকে
করবি তেমনি সৎ যা’ কাজ, -
সতর্কতায় চক্ষু রেখে,
পড়বে মাথায় ধন্য লাজ। ১৪৪|
আচার্য্যেরই সস্তূপণা
সাধ্য যে তা’ই রাখ না শুনে,
ঐটি নিয়েই জীবন কাটা
কৃতি-জীবন বুনে-বুনে। ১৪৫।
বোধি-নিবেশ দক্ষ ক’রে
আগ্রহকে শক্তিশালী,
না ক’রে যদি উচ্ছলাকে
অবশ ক’রে রাখিস্ খালি,
জীবন-পথে আসবে কি তোর
বজ্রকঠোর উর্জ্জনা-
‘যা’ দিয়ে তুই কৃতিস্রোতা
হ’য়ে আনবি বর্দ্ধনা? ১৪৬।
ভয় করিস্ নে, ঘাড়াস্ নে তুই
উদাম ধাওয়ায় ক’রে চল্,
কাজে যতই এগিয়ে যাবি
মনেও তত বাড়বে বল। ১৪৭।
স্থান কাল পাত্র
আর পরিবেশ,
দেখে-শুনে-ভেবে বুঝিয়া বিশেষ,
কর, বল আর তেমন চল,
স্মরণে রাখিয়া ইষ্ট-নিদেশ। ১৪৮।
শ্রমেও থাকে সুখ
প্রেষ্ঠরাগী উদ্যমেতে
ফোলা যখন বুক। ১৪৯।
হৃদয়ের বল দেখে-বুঝে
বোধ-বিবেকী ঈক্ষণে,
বুঝবি যেমন, করবি তেমন,
তৃপ্তিপ্রদ নিক্কণে। ১৫০।
অটুট-স্রোতা ইষ্টনেশা
সকল কাজেই থাকে,
নিষ্পাদনী অর্ঘ্যে আরো
দক্ষতাকে ডাকে। ১৫১।
‘দিন গেল রে’-এই ব’লে তোর
ব’সে থাকলে চলবে না,
ধরতে হবে করতে হবে
যেমনটি তোর কামনা। ১৫২।
তাঁ’র কৃপা তো আছেই ওরে
থাকবেই চিরদিন,
কৃপা পাওয়ার করণ ছেড়ে
কেন হ’বি তুই হীন? ১৫৩।
#কৰ্ম্ম
#Anusruti_part_2
#অনুশ্রুতি_দ্বিতীয়_খণ্ড
#অনুশ্রুতি_২য়
#চতুর্থ_সংস্করণ
#শ্রীশ্রীঠাকুর_অনুকূলচন্দ্ৰ
Telelegram https://t.me/amritokatha
10