🔷 মৃত্যুও মৃত্যু নয়...
🔷 সমাধি কী বেহুশ হয়ে পড়ে থাকা না অন্য কিছু...
🔷 নিয়ন্ত্রণ , সামঞ্জস্য , সমাধান কী..
১৫ ই মাঘ , সােমবার , ১৩৪৬ ( ইং ২৯/১/১৯৪০ )
বেলা প্রায় গােটা দশেকের সময় শ্রীশ্রীঠাকুর বাবলাতলায় ফিলান্থ্রপি । অফিসে ব'সে আছেন । পাশে দাড়িয়ে কেষ্টদা ( ভট্টাচাৰ্য ) । একজনের সঙ্গে সমাধি - সম্বন্ধে আলােচনা করছেন । শ্রীশ্রীঠাকুর সেই কথা শুনে বললেন - সমাধি হ'লো integrated solution ( সংহত সমাধান ) -এর পর যে অবস্থাটা হয় তাই । মানুষ মনে করে , সমাধি হলে মানুষ বুঝি আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে , কিন্তু তা নয় । চিন্তা করতে - করতে কোন প্রশ্ন বা সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান হ'লে অর্থাৎ সম্যক ধারণা হ'লে মনে - মনে যে তৃপ্তির বােধটা জাগে , যে আনন্দের আবেশটা আসে , সেই অনুভূতিটাই সমাধি । সমাধি নানারকমভাবে হয় — প্রত্যেকটা জিনিসের বিভিন্ন phase ( দিক ) আছে তো , একটা বিষয়ের univers সবগুলি phase ( দিক ) যখন জানার মধ্যে , বােধের মধ্যে ধরা দেয় তখনই ক্ষণিক সমাধি হয় । তাই বলে , সমাধিতে অনন্ত জ্ঞানের ভাণ্ডার খুলে যায় । intellectual solution ( বৌদ্ধিক সমাধান ) হ'লে তাকে সমাধি বলে না, with sensation ( বোধে ) বােধ করা চাই । আর , সব - কিছু ইষ্টে সার্থক হওয়া চাই । সমাধির সঙ্গে - সঙ্গে আসে কৰ্ম্ম । যে solution ( সমাধান ) পাওয়া গেল তাই তখন work out ( রূপায়িত করা হয় । আপনার কিছুই বাদ যাবে না , যদি বেশ্যাবাড়ি যেয়ে থাকেন , পেন্সিল ছুড়ে থাকেন বা কুল খেয়ে থাকেন — সব - কিছু থাকবে , with meaning ( অর্থসহ ) হাজির হবে । আপনার universe- এ ( বিশ্বে ) যা আছে , আপনার মতাে করে সবকিছু জানতে হবে — ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠার জন্য । মানুষ - মাত্রেরই মধ্যে রয়েছে নিরতিশয় সৰ্বজ্ঞত্ববীজ , সে যার সংস্পর্শেই আসুক না কেন , তা সে জানতে পারে । আমি এত কথা বলি কি - ক'রে — সব তো realised facts- এর ( অনুভূত তথ্যের ) উপর based ( প্রতিষ্ঠিত ) । আর , যতভাবে যত কথাই আমি বলি না — আমি বলি কিন্তু এক কথাই । রামকৃষ্ণদেব বলেছিলেন— “ এখন সব জ্ঞান দিচ্ছি না । তিনি closed ( অপ্রকাশিত ) রেখেছিলেন কিছু , কিন্তু আমি সব disclose ( প্রকাশ করে দিচ্ছি । সব যে দিয়ে গেলাম পরিষ্কার করে , তাও মানুষআ পনাদের কাছে না আসিলে বুঝতে পারবে না । আপনারা হবেন কত মানুষের জীবন - দেনেওয়ালা । আপনারা যারা অচ্যুত নিষ্ঠা ও আনুগত্য নিয়ে আমার সঙ্গে actively ( সক্রিয়ভাবে) কাজ করছেন , তারা হলেন future Gurus and Saviours of humanity ( মানবজাতির ভবিষ্য গুরু ও উদ্ধাতা ) ।
নিয়ন্ত্রণ , সামঞ্জস্য , সমাধান কী , সেই বিষয়ে শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন — ধরুন , কলকাতার বাড়ীর জন্য সওয়া লাখ টাকা তুলতে হবে । আপনি ভাবলেন , পাচশত লােকের কাছ থেকে টাকা তুলবেন , এটা হলাে নিয়ন্ত্রণ ; তারপর ঠিক করলেন , প্রত্যেকের কাছ থেকে ২৫০ টাকা করে নেবেন , সেটা হলো সামঞ্জস্য । তারপর কেমন করে এই টাকা তোলা যায় সে - ফন্দীটা আপনি চিন্তা করে এটে ফেললেন — সেটা হলো আপনার সমাধান ।
“ মামুপপত্য তু কৌন্তেয় পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে ” গীতার এই প্রসঙ্গে বললেন স্মৃতিবাহী চেতনা থাকলে মৃত্যুও মৃত্যু নয় , পুনর্জন্মও পুনর্জন্ম নয় ।
অন্যান্য কথাবার্তার পর কেষ্টদা একজনের ব্যবসাজীবনের উন্নতির ইতিবৃত্ত শ্রীশ্রীঠাকুরকে বললেন । শ্রীশ্রীঠাকুর শুনে বললেন — স্বস্তানী একটি principle ( নীতি ) ওর মধ্যে আছে । যে যেখান থেকে evolve করুক ( উন্নত হোক ) না কেন , অসতে হবে এখানে । স্বস্ত্যয়নীর পাঁচটি নীতি অল্প বিস্তর যাদের চরিত্রগত , তাদের আর উন্নতির ভাবনা ভাবতে হবে না ।
#Alochona_prosonge_part_1
#আলোচনা_প্রসঙ্গেপ্রথম_খণ্ড
#ষষ্ঠ_সংস্করণ
https://www.amritokatha.in/
https://www.facebook.com/Amritokathaa
10