[P - 15] 🔷 ধর্মান্তর এর কুপ্রভাব.. 🔷 ইষ্টভৃতির টাকা 🔷 স্বতী নক্ষত্রের জল , পাত্রবিশেষে ফল 🔷 যাজনে brain এর সবগুলি দিকActive হয়ে ওঠে 🔷 ঐশ্বৰ্য্য.

🔷 ধর্মান্তর এর কুপ্রভাব..
🔷 ইষ্টভৃতির টাকা  
🔷 স্বতী নক্ষত্রের জল , পাত্রবিশেষে ফল
🔷 যাজনে brain এর সবগুলি দিকActive হয়ে ওঠে
🔷 ঐশ্বৰ্য্য..

৯ শে কার্তিক , বুধবার , ১৩৪৬ ( ইং ১৫/১১/১৯৩৯ ) 👇

    স্থান : পাবনা , সৎসঙ্গ - আশ্রম । শ্রীশ্রীঠাকুরের আশ্রিত স্থানীয় একজন প্রবৃত্তি - তাড়িত হয়ে স্বধর্ম ও কৃষ্টি ত্যাগ করে ধর্মান্তর গ্রহণ করবে বলে স্থির করেছে । এই সংবাদ পেয়ে তিনি দারুণ মর্মাহত হয়ে পড়েছেন।

দুপুরে খেতে গিয়ে ভাতের থালায় হাত দিয়ে উঠে এসেছেন , খেতে পারেননি , ঘুমুতেও পারেননি । লােকটিকে ডাকিয়ে তার সঙ্গে নিরালায় কথাবার্তা বলছেন , বােঝাচ্ছেন — পূরয়মাণ ইষ্ট , কৃষ্টি , বৈশিষ্ট্য ও পিতৃপুরুষকে অস্বীকার করে যে ধর্মান্তর - গ্রহণ তা কতখানি সত্তাসম্বর্ধনার অর্থাৎ ধর্মের বিরােধী । কারণ , ঐভাবে যাকে গ্রহণ করা হয় , তার ভিতর তার প্রতি শ্রদ্ধাচ্ছল আগ্রহ তো থাকেই না , বরং ধর্মের নাম ভাঁড়িয়ে নিজের অপকর্মকে সমর্থন করার প্রবৃত্তি প্রলুব্ধ প্রেরণাই থাকে প্রবল , তাতে করে তাকে এবং প্রতিপ্রত্যেকটি প্রেরিতকেই অবমাননা করা হয় । লােকটি বুঝেও বুঝছে না , তাই তার মন বড় বিমর্ষ । চোখমুখের দিকে চাওয়া যাচ্ছে না । 

   ৩০ শে কার্তিক , বৃহস্পতিবার , ১৩৪৬ ( ইং ১৬/১১/১৯৩৯ )👇 

    সত্যদা ( দে ) বলছিলেন কলকাতার এক ভদ্রলোক শ্রীশ্রীঠাকুরের নল কেনা উপলক্ষ্যে অনেককে ফাকি দিয়ে তাদের ইষ্টভৃতির টাকা নিয়ে নিয়েছে। 

      শ্রীশ্রীঠাকুর — অমন দেয় কেন ? যারা দেয় , তাদেরই তাে দোষ। বিশ্বাস রাখা ভাল , কিন্তু বেকুব হওয়া ঠিক নয় । আর , ইষ্টভৃতির টাকা যে কোথায় পাঠাতে হবে — আমি তো স্পষ্ট করে লিখে দিয়েছি , অপরের উল্টো কথা মেনেনেয় কেন ?  এ কথা সবার জানা উচিত যে , আলো জ্বললে সেখানে যেমন পােকা আসে , তেমনি টিকটিকিও আসে । 

২১ শে অগ্রহায়ণ , বৃহস্পতিবার , ১৩৪৬ ( ইং ৭/১২/১৯৩৯ )👇

   শীতের পড়ন্ত বেলায় আশ্রম - প্রাঙ্গণে একখানি বেঞ্চের উপর বসে শ্রীশ্রীঠাকুর বহুবল্লভ গােস্বামী নামক একজন কীৰ্ত্তনিয়ার সঙ্গে কথা কইছেন— “ স্বতী নক্ষত্রের জল , পাত্রবিশেষে ফল । ” একই libido ( সুরত ) যার উপর গিয়ে পড়ে , যেখানে set (ন্যস্ত)) হয় , তার উপরই সবকিছু নির্ভর করে । তাই সদগুরুর উপর libido ( সুরত ) ঠিকভাবে set হয়ে গেলে ( ব’সে গেলে ) “ মার দিয়া কেল্লা । ” ( শ্রীশ্রীঠাকুর একটি দাদাকে লক্ষ্য করে বললেন ) —আপনার খোন্তামার কথা , ওই - ই যদি ইষ্টের জন্য লাগান , তাই মানুষের কানে মধু ঢেলে দেবে । একজন হয়তো আপসােসের কান্না কাদে , সে যদি ইষ্টস্বার্থ প্ৰতিষ্ঠাপরায়ণ হয়ে ওঠে , তার কান্না মানুষকে একেবারে ভাসিয়ে দেবে । কাম ,

ক্রোধ কমানর কিছু দরকার নেই , শুধু ওদের ইষ্টমুখিনতার দিকে নিয়ন্ত্রিত করতে হবে — কাম , ক্রোধ ইত্যাদি মরে গেলে ইষ্টের কাজ করবে কী দিয়ে ? আর , ধর্মের একটা নিশানা আছে — পূজা - অর্চ্চা করি , ভগবানকে ভালবাসি অথচ আমার দক্ষতা , ক্ষিপ্রতা বাড়ছে না , সপারিপার্শ্বিক আমি উচ্ছল হয়ে উঠছি না — এতে বুঝতে হবে , আমার চলার গণ্ডগোল আছে । কেউ ঐশ্বৰ্য্য চাক আর না চাক — ইষ্টপ্রাণ হ'য়ে চলার পথে ঐশ্বৰ্য্য তাকে আলিঙ্গন করবেই । সেবাসম্ভুত প্রকৃত ঐশ্বৰ্য্য হলাে একটা নিদর্শন যে সে ধর্মকে যথাযথ আচরণ করেছে । এইজন্য চৈতন্যচরিতামৃতে আছে— “ ঐশ্বৰ্য্য জ্ঞানেতে সব জগৎ মিশ্রিত , ঐশ্বৰ্য - শিথিল প্রেমে নাহি মোর প্রীত । ” তবে কোন - একটা কিছু স্তর বা অবস্থা বা আর্থিক উন্নতি লাভ করবার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে যে ইষ্টকে ভালবাসে , তার কিছুই হয় না — মোক্ষবাঞ্ছা কৈতবপ্রধান । মানুষ ‘ অনন্যভা ’ অর্থাৎ অনন্য - ভজনশীল হয়েই আছে — ইষ্টকে নিয়ে ‘ অনন্যভাক্ ’ হতে পারলেই কাম ফর্সা । তাঁকে ভাল লেগে গেলে সব - কিছু তলে পড়ে যায় , যাজনে ওই তাঁর জন্য তাকে ভাললাগা গজায় । 

যাজনে brain- এর ( মস্তিকের ) সবগুলি sphere ( দিক)  Active(সক্রিয)  হয়ে ওঠে , ক্ষুদ্র - ক্ষুদ্র বাসনার knot ও obsession ( গেরাে ও অভিভূতি ) -গুলি ভেঙ্গে যেতে থাকে , যদি কিনা মানুষ নিরাশী ইষ্টস্বার্থ প্রতিষ্ঠাপন্ন হ'য়ে যাজনের আনন্দের জন্যই যাজন করে চলে । 

অনেক কথার পর শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন — আগে ভরদ্বাজ University ( বিশ্ববিদ্যালয় ) , বশিষ্ঠ University ( বিশ্ববিদ্যালয় ) , শাণ্ডিল্য University ( বিশ্ববিদ্যালয় ) —এইরকম ছিল । কৃষ্টির জাগরণের জন্য আবার সব গ'ড়ে তুলতে হয় । 

#Alochona_prosonge_part_1
#আলোচনা_প্রসঙ্গেপ্রথম_খণ্ড 
#ষষ্ঠ_সংস্করণ 

https://www.amritokatha.in/

https://www.facebook.com/Amritokathaa

        face book