নাম-ধ্যান :-
নামে মানুষকে তীক্ষ্ণ করে, আর ধ্যান মানুষকে স্থির ও গ্রহণক্ষম করে। ধ্যান মানেই কোন-কিছু-একটার চিন্তা নিয়ে লেগে থাকা অর্থাৎ তৎচিন্তা-পরম্পরায় নিয়ত মননশীল হওয়া- আর তা-ই আমরা বোধ করতে পারি যা-ই আমাদের লেগে থাকাটার বিক্ষেপ এনে দেয়, কিন্তু ভেঙ্গে দিতে পারে না।
বিরক্ত হওয়া মানেই বিক্ষিপ্ত হওয়া। তীক্ষ্ণ হও, কিন্তু স্থির হও- সমস্তই অনুভব করিতে পারিবে। আবার এই ধ্যান করতে গেলেই যাকে ধ্যান করছি তার নাম তদর্থ- ভাবনার সহিত আপনা-আপনি এসে হাজির হয়। আর অমনি করেই সেই বিষয়ের চিন্তা একটা পরম্পরার প্রকৃতি নিয়ে নিরবচ্ছিন্ন তৈলধারার মতন চলতে থাকে। আর এরই ফলেই সমাধি এসে হাজির হয়।
তাই মানুষ যখন সামধি থেকে সপারিপার্শ্বিক জগৎ-বুদ্ধিতে জেগে উঠে, তখন তার একটা বিরাট জ্ঞানচৈতন্য নিয়ে জাজ্জ্বল্যভাবে উদ্ভাসিত হ'য়ে থাকে। তখন সে হয় ঐ জ্ঞান-চৈতন্যের ব্যক্ত প্রতীক।
তাই নাম ও ধ্যান করতে গেলেই সদ্গুরু, আদর্শ বা প্রিয়পরম-যা-ই ব'লে অভিহিত কর না কেন—অমনতর জীবন্ত ব্যক্তপ্রতীকেরই অবলম্বন ও অনুসরণ করতে হয়।
তা' না পাওয়া গেলে ঐ ব্যক্তপ্রতীকে আপ্রাণ বাস্তবপ্রেমী এমনতর কাউকে অবলম্বন ও অনুসরণ ক'রে ঐ আদর্শ, সদ্গুরু বা প্রিয়পরমে উদ্বুদ্ধ আপ্রাণ হ'তে হয়- আর এই হ'লেই তোমার উন্নত চলনা জীবন, যশ ও বৃদ্ধিতে প্রগতি-পরায়ন হ'য়ে সম্বেগশালী হ'তে পারে।
10