বিশ্বাসঘাতকতা :-
কোন কিছু আজ বুঝেছি আবার কাল বোঝা যায় না, হেঁয়ালী ইত্যাদির ব'লে শৃগাল সেজো না- কারন ইতর জন্তুরাও যা' বোঝে তা' ভোলে না। তাই এই প্রকার বলাটাই দুষ্ট বা অস্থির বুদ্ধির পরিচায়ক।
আজ উপকৃত হয়েছি ব'লে কাল আবার স্বার্থান্ধ হ'য়ে অপকৃত হওয়ার ভাণ ক'রে অকৃতজ্ঞতাকে ডেকে এনো না।
এর চাইতে ইতরামো আর কি আছে? যা'কে তাকে জিজ্ঞাসা কর।
মূর্খতা না থাকিলে উপকৃতের কুৎসায় উপকারীকে নিন্দিত করা যায় না। উপকারী যখন উপকৃতের নিকট বিধ্বস্ত হয়, তখন মূঢ় অহং কৃতজ্ঞতারূপ অগল ভাঙ্গিয়া দণ্ডকন্টকাকীর্ণ মৃত্যুপথ উন্মুক্ত করে।
আশ্রিতের নিন্দার যিনি অশয়কে কুৎসিৎ বিবেচনা করেন-বিশ্বাসঘাতকতা তাঁর পশ্চাৎ অনুসরণ করে। যে মানুষ মঙ্গল অর্থাৎ জীবনবৃদ্ধি আচার, ব্যবাহার ও কর্মকে সেবা সমর্থন না করে unbiassed ভঙ্গী নিয়ে
নিরপেক্ষতা অবলম্বন ক'রে কিংবা আপন প্রতিষ্ঠা, সম্প্রদায় ও সংস্কারের গোঁড়ামি নিয়ে মঙ্গলকে অবসাদগ্রস্ত ও আহত ক'রে অমঙ্গলের বাঁচা বাড়াকে তুষ্ট ও পুষ্ট করতে দিগ্দারী দয়া ও পটুতার অহঙ্কারে হীনতার মোসাহেবী বাহবাকে প্রত্যাখান করতে পারে না-বুঝিও তার জন্মই কলঙ্কপঙ্কিল সে যত বড়ত্ব বা ধার্মিকতার ভঙ্গী ধারেই থাকুক না কেন, তার বাস অতি দুর্ব্বল ও নীচু মনে ও অধাত্মিকতায়। বিনয়সমন্বিত অবহেলার অন্তরে তোমার সতর্ক নজরকে তার পাহারা হতে নিরম্ভ করিও না।
তুমি জান নাই বা বুঝিতে পার নাই এমনতর তোমার আদর্শের কোন কাজ বা কথার মন্দ বা বিরুদ্ধ সমালোচনা জামায়েত লোকজনের সমক্ষে এমন কি বুঝিবার জন্যও কিছুতেই করিতে যাইও না। করিলে তাহা তোমার প্রতি- পারিপার্শ্বিকে নানারকমে চারাইয়া গিয়া তোমার ও তোমার আদর্শের এমনতর মন্দ বা বিরুদ্ধ অযথা অন্যায় মতবাদের সৃষ্টি করবে যাহাতে অপবাদ ও অপাশের বাস্তব সংঘাতে আদর্শ সহিত তোমার দুস্থ, অবসাদগ্রস্থ সংঘাত নিহত হইতে একটুও বিলম্ব হইতে না-ও পারে।
আর শত চেষ্টায়ও তখন তাহার নিরাকরণ করার অবসরও থাকিবে না-লাখ ভাল করিয়াও হয়ত বিনাদোষে অর্ব্বাচীনের মত আদর্শ সহিত তোমার এই বেকুবীর দরুণ ঐ অল্পবুদ্ধি পারিপার্শ্বিকের হাতে বিধ্বস্তিতে নিষ্পেষিত হইয়া হতায়ু হওয়া ছাড়া হয়ত অন্য কোন উপায়ই থাকিবে না।
সাবধান হইও-এমনতর কেহ করিতে গেলেও তাহাকে বিনা আপোষ রফায় তৎকালেই প্রতিরোধ করিও-ই। বরং তাতে অনেকটাই রেহাই পাইতে পার।
যখনই কেহ তোমার কাছে তোমার আদর্শ, ধর্ম বা তদ্রূপ মাঙ্গল্য কোন কিছুর নিন্দা বা অপবাদ করিবার সুযোগ বা অবসর পাইয়াছে বা অপবাদ করিতেছে-ঠিক বুঝিও এই নিন্দা, অপবাদ, অপযশের উপকরণ-যাতে সেগুলি পোষণ পেতে পারে-তা তোমার অন্তর, তোমার হাবভাব ইত্যাদিতেই প্রকৃষ্টভাবে লুক্কায়িত আছে। একটা সংজ্ঞান, উদারতা বা ক্লৈবিক বিচারসম্পন্ন বিশ্বপ্রেমের ঘোমটায় তোমার সেই তাহাত্ব-ই জ্বলজ্বল্ করিতেছে-আর ঐ আকর্ষণেই তোমার পারিপার্শ্বিক মুগ্ধ বেকুবতায় অচল অমনতর হইয়া তোমার সম্মুখে দাঁড়াইল। সাবধান হও, শোধরাও, আপোষ রফা হইতে বিরত থাক-আদর্শপ্রাণতায় আপ্রাণভাবে তৎস্বার্থ ও প্রতিষ্ঠাপন্ন হইয়া উদ্ভাসিত মুগ্ধ আকর্ষণে প্রতি প্রত্যেককে উদ্বুদ্ধ করিয়া তোল- সার্থক হইবে ও সার্থক করি
তে পারিবে।
10