ধৰ্ম্ম
যা' নাকি অন্যের বাঁচা বাড়াকে নিজেরই আদর্শ-নিষ্ঠ বাঁচা বাড়ার মতন ক'রে, তেমনই আকুল চাহিদা সমুন্নত ক'রে তোলে-মানুষের জীবনে, ধর্ম্মের ভিত্তিই হচ্ছে তা-ই।
যা'র উপর যা'- কিছু সব দাঁড়িয়ে আছে, তা-ই ধৰ্ম্ম-আর তিনিই পরমপুরুষ।
যা'র উপর বিষয়ের অস্তিত্ব তা-ই ধর্ম্ম। যতক্ষণ তা' জানা যায় নাই, ততক্ষণ বিষয়কে ঠিক ঠিক জানা হয় নাই। ধর্ম্মকে জানা মানেই বিষয়ের মূল কারণ- যা নাকি সবটাকে ধ'রে আছে-তা'কে জানা, আর তা-ই জানাই জ্ঞান।
চাহিদা-প্রবল, অভাবে পরিশ্রান্ত মনই ধৰ্ম্ম বা ব্রহ্ম জিজ্ঞাসা করে, নতুবা করে না। জীবনের উদ্দেশ্য অভাবকে একদম তাড়িয়ে দেওয়া-আর তা' শুধু কারণকে জেনে' করলেই হ'তে পারে।
কিসে অভাব যায়, আর তা' কেমন ক'রে- এই চিন্তাতেই পরিশেষে ধর্ম্ম বা ব্রহ্ম-জিজ্ঞাসা আসে। ধৰ্ম্ম কখনও বহু হয় না। ধম্ম একই, আর তার কোন প্রকার নেই ।
মত বহু হ'তে পারে, এমন-কি যত মানুষ তত মত হ'তে পারে, কিন্তু তাই ব'লে ধৰ্ম্ম বহু হ'তে পারে না। হিন্দু-ধৰ্ম্ম, মুসলমান-ধৰ্ম্ম, খ্রীস্টান-ধৰ্ম্ম, বৌদ্ধ-ধৰ্ম্ম ইত্যাদি কথা আমার মতে ভুল, বরং ও’সবগুলি মত। কোন মতের সঙ্গে কোনো মতের প্রকৃতপক্ষে কোন বিরোধ নেই, ভাবের বিভিন্নতা, রকম-ফের-একটাকেই নানা প্রকারে এক-রকম অনুভব।
সব মতই সাধনা বিস্তারের জন্য তবে তা' নানা প্রকারে হ'তে পারে, আর যতটুকু বিস্তারে যা' হয় তাই অনুভূতি- জ্ঞান। তাই ধৰ্ম্ম অনুভূতির উপর ।
10