কাজের সংকেত
হেগে মরার চেয়ে হেঁটে মরা ভাল। যে বলায় কম কাজে বেশী, সে-ই প্রথম শ্রেণীর
কৰ্ম্মী ; যে যেমন বলে তেমনি করে, সে মধ্যম শ্রেণীর কৰ্ম্মী ; যে বলে বেশী, কাজে কম, সে তৃতীয় শ্রেণীর কৰ্ম্মী ; আর যার ব’লতেও আলস্য, ক'রতেও আলস্য, সেই অধম।
দৌড়ে যাও, কিন্তু হাঁপিয়ে যেও না ; আর, হোঁচট খেয়ে যাতে না পড়, দৃষ্টি রেখো ।
যে-কার্য্যে তোমার বিরক্তি ও ক্রোধ আসছে, নিশ্চয় জেনো, তা” পণ্ড হওয়ার মুখে। কার্য্যসাধনের সময় তা' হ'তে যে বিপদ আসবে, তা'র জন্য রাজি থাকো; বিরক্ত বা অধীর হয়ো না, সফলতা তোমার দাসী হবে।
চেষ্টা কর, দুঃখ ক’রো না, কাতর হ’য়ো না, সফলতা আসবেই। কার্য্যকুশলের চিহ্ন দুঃখের প্রলাপ নহে।
উত্তেজিত মস্তিষ্ক ও বৃথা আড়ম্বরযুক্ত চিন্তা—দুইটিই অসিদ্ধির লক্ষণ।
বিপদকে ফাঁকি দিয়ে ও পরাস্ত করে সফলতা-লক্ষ্মী লাভ কর ; বিপদ যেন তোমায় সফলতা থেকে বঞ্চিত না করে। সুখ কিংবা দুঃখ যদি তোমার গতিরোধ না করে তবে তুমি নিশ্চয় গন্তব্যে পৌঁছিবে, সন্দেহ নাই ।
10