সন্দেহ:-
বিশ্বাস বিরুদ্ধ ভাব দ্বারা আক্রান্ত হ'লেই সন্দেহ আসে। বিশ্বাস সন্দেহ দ্বারা অভিভূত হ'লে মন যখন তাই সমর্থন করে, তখনই অবসাদ আসে।
প্রতিকল যুক্তি ত্যাগ ক'রে বিশ্বাসের অনুকূল যুক্তি শ্রবণ ও মননে সন্দেহ দূরীভূত হয়, অবসাদ থাকে না।
বিশ্বাস পেকে গেলে কোন বিরুদ্ধ ভাবই তা'কে টলাতে পারে না। প্রকৃত বিশ্বাসীর সন্দেহই বা কি করবে, অবসাদই বা কি করবে?
সন্দেহকে প্রশয় দিলে সে ঘুণপোকার মত মনকে আক্রমন করে। শেষে অবিশ্বাসরূপ জীর্ণতার চরম মলিন দশা প্রাপ্ত হয়।
সন্দেহ অবিশ্বাসের দূত আর অবিশ্বাসই অজ্ঞানতার আশ্রয়। সন্দেহের নিরাকরন ক'রে বিশ্বাসের স্থাপন করাই জ্ঞানপ্রাপ্তি।
সন্দেহ থেকেই অবিশ্বাস আসে, আর অবিশ্বাসই জড়ত্ব।
তোমার মন-থেকে যে-পরিমাণে বিশ্বাস সরে যাবে, জগৎ সেই পরিমাণে তোমাকে সন্দেহ করবে এবং দুর্দ্দশাও তোমাকে সেই পরিমাণে আক্রমণ করবে ইহা নিশ্চয়।
সন্দেহ এলে তৎক্ষণাৎ তা নিরাকরণের চেষ্টা কর, আর সৎচিন্তায় নিমগ্ন হও- জ্ঞানের অধিকারী হবে, আর আনন্দ পাবে।
অবিশ্বাস-ক্ষেত্রে দুর্দ্দশা বা দুর্গতির রাজত্ব। বিশ্বাস-ক্ষেত্র বড়ই উর্ব্বর। সাবধান! অবিশ্বাস-রূপ আগাছায় সন্দেহরূপ অঙ্কুর উঠতে দেখলেই তৎক্ষণাৎ তা' উৎপাটন কর, নতুবা ভক্তিরূপ অমৃত-বৃক্ষ গজাতে পারবে না। সন্দেহের নিরাকরণ কর, বিশ্বাসের সিংহাসনে ভক্তিকে বসাও, হৃদয়ে ধর্ম্মরাজ্য সংস্থা
পিত হোক !
10