শ্রীশ্রীঠাকুরকে যেমন দেখেছি P - 4 :-
॥ চার ॥
তখন ১৩৫৪ সালের পৌষমাসের শেষ সপ্তাহ। কয়েক দিন মেঘলা থাকার পর সেদিন বেশ পরিচ্ছন্ন রোদ উঠেছে। সকাল বেলাটায় এই রোদ পোহানো সবার কাছেই বেশ আরামপ্রদ। ঠাকুর বড়াল বাংলোর বাইরে এসে তাঁর বসার জন্যে প্রস্তুত একটা তাঁবুর নিচে বিছানায় এসে বসলেন। রৌদ্রস্নাত খোলা জায়গায় অনেকেই এসে জড়ো হলো।
ঋত্বিকদের চলন-চরিত্র সম্বন্ধে কথা উঠলো। কেউ কেউ বললে, আপনি যখন সকলের চরিত্রই জানেন, তখন কেবল নির্দোষ চরিত্রের যোগ্য মানুষগুলিকে ঋত্বিকের পাঞ্জা দিলেই তো পারেন-অযোগ্য ঋত্বিকদের নিয়ে আপনার আর কোন সমস্যা থাকে না। কারও ক্ষতিও হয় না।
ঠাকুর বললেন, 'খুব ভালো কথা কইছো। চারিত্রিক যোগ্যতা বা বিশুদ্ধতা কারও কি তৈরি হয়ে থাকে? এ হলো নিত্য সাধ্য। এ হলো ইষ্টনির্দেশ মেনে নিজেকে ধীরে ধীরে গড়ে তোলার জিনিস। নিজেদের দিয়ে বোঝো না?'
একজন বললেন 'পাঞ্জা তো একটা সম্মানের জিনিস। সেই পূত মর্যাদার অপব্যবহার হতে পারে-সে তো আর এক ফ্যাসাদ!'
'দ্যাখো, আমি তা বুঝি। কিন্তু এমন মানুষ কমই আছে কিংবা হয়তো আদৌ নেই যার দ্বারা সুযোগের অপব্যবহারের সম্ভাবনা একে বারেই নেই।'
'আমি একটুখানি সদ্ভাবনার সন্ধান পেলেই তার উপরে ভর করে দাঁড়াবার চেষ্টা করি। না হলে তো ঠগ বাছতে গিয়ে গাঁ উজাড় হয়ে যাবিনি-লোক আর পাওয়া যাবি নানে। এই কথাডা মনে রাখবা যে, সকলে মহাপুরুষ হয়ে জন্মায় না।'
সেই বিকেলের দিকে ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন শেরপুরের জমিদার রায়বাহাদুর সত্যেন চৌধুরী।
রায়বাহাদুর আসন গ্রহণ করার পর কুশল-বিনিময় শুরু হলো। তিনি কষ্ট স্বীকার করে দেখা করতে এসেছেন বলে ঠাকুর খুবই খুশি হয়ে তাঁর কৃতজ্ঞতা জানালেন।
সদ্যপ্রাপ্ত স্বাধীনতার উপরে নানা কথা হতে লাগলো। কথা প্রসঙ্গে চৌধুরীমশাই তাঁর মনের একটি মৌলিক প্রশ্নকে তুলে ধরলেন। জিজ্ঞেস করলেন, 'আমরা তো ফ্রিডম চেয়েছিলাম, কিন্তু যে ফ্রিডম পেলাম এটা কেমন হলো-আপনার কী মনে হয়?'
উত্তরে ঠাকুর বললেন, 'আমরা ফ্রিডমই চেয়েছিলাম কিন্তু যা পেলাম তা ফ্রিডম নয়, একে বলা যায় ফিউডম অর্থাৎ কিছু লোকের রাজ। যারা আত্মধান্ধা নিয়ে ঘুরছিলো, তাদেরই ধান্ধা মিটেছে মাত্র। সব মানুষ কি এই স্বাধীনতা চেয়েছিল-যার আবির্ভাবের ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষকে ভিটেমাটি ছেড়ে ভিনদেশে উদ্বাস্তুরূপে গিয়ে নতুন করে মাটি খুঁজতে হলো, অ খুজতে হলো, এ তো সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রবঞ্চনার ফসল। এর চেয়ে ধোঁকাবাজি আর কী হতে পারে?'
বৃটিশের ভাইসরয় মাউন্টব্যাটেনও ভাবলেন, ভারতের বড়-মাথাকে আলাদা করে দিয়ে এক কবন্ধ স্বাধীনতার উপহার দিয়ে যাবার এইটাই উপযুক্ত সময়। তিনি তাঁর সরকারকে সেই রকমই বোঝালেন। বোঝালেন, ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি খোঁড়া দেশ তৈরি করে রেখে যেতে পারলে ওরা তাদের কলোনির মতোই বশে থাকবে।
মুষ্টিমেয় পাকিস্তানপন্থীরা সময় বুঝে শুরু করলো দাঙ্গা। তারা জানে, সেই দাঙ্গার আগুনকে নিভাতে হলে তাতে জল ঢালতেই হবে। আর সেই জল হবে পাকিস্তান রাষ্ট্রের স্বীকৃতি। মতলবী মাউন্টব্যাটেন সেই জলই ঢাললেন। বেশি কথা না বাড়িয়ে স্বীকার করে নিলেন দুই জাতির অস্তিত্ব-দুই জাতিকে দিলেন • একটি দেশের দুটি অংশ। এটাই ফিউডম- কতিপয়ের রাজ।
বললেন, 'যেভাবে স্বাধীনতা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে, তার গোড়াতেই আছে আত্মদ্রোহিতা।
একদিন কথা উঠলো, পুরুষোত্তম মানবদেহে এসে মানুষকে কতটা দেন? তাঁর সবজ্ঞান উজাড় করে দেন তো?
ঠাকুর উত্তরে বললেন, 'তাঁর সব জ্ঞান বলতে কী বোঝায়, সে-সম্বন্ধে তো আমাদের ধারণাই নেই। কাজেই ওটা কোন কথাই নয়। আর আসল কথা হচ্ছে, তিনি তো তাঁর জানাটাকে জাহির করতে চান না। মানুষ যেটুকু জানার জন্যে জিজ্ঞাসু হয়-অর্থাৎ যেটুকু দিলে মাথায় নিতে পারবে, তিনি সেইটুকুই দেন। যে-যুগে মানুষ যতটা গ্রহণের জন্যে প্রস্তুত, সে-যুগে ততটাই দিয়ে যান তিনি। একে বলা যায়, যুগোপযোগী দান। সভ্যতা ও সংস্কৃতি এইভাবেই এগোয়। তবে একটা বড় কথা হলো, তাঁর কোন যুগের কোন কথাই পরস্পরবিরোধী নয়। তাঁর সর্বকালের সব কথা ও কর্ম একমুখী- এক তাৎপর্যবাহী।'
এক সময়ে ঠাকুর একটা খুব মজার কথা বললেন। ধরো, যাদব-নামক ব্যক্তি মাধব-নামক ব্যক্তির বাস্তব সাহায্যের উপরে দাঁড়িয়ে বেঁচেবর্তে আছে এবং উন্নতি করছে। এখন যাদব যদি মাধবের দয়ার কথার উল্লেখ পর্যন্ত না করে কেবল বলে, পরমপিতার দয়ায় এসব হয়েছে, তাহলে এটা হবে কিন্তু অকৃতজ্ঞতার একটা উদাহরণ। পরমপিতা কিন্তু এই রকম খোসামুদি চান না। যাদবের কথা এই রকম হওয়া উচিত- পরমপিতার ইচ্ছায় মাধবদার বাস্তব সহায়তায় আমি খুব ভালো আছি। মাধবদার মতো হৃদয়বান নিঃস্বার্থ মানুষ কমই দেখা যায়।
পরমপিতা এই সত্যোচ্চারণে খুশি হন।
আবার ঐ আসরেই কথা উঠলো, যুগ-কথার তাৎপর্য কী? এক-একটা যুগের পুরুষোত্তমের আচার ব্যবহার, লোক-চালনা এক-এক রকম হয়ে থাকে-সেটাই বা কেন?
ঠাকুর তদুত্তরে বললেন, দ্যাখো, মানব-সভ্যতার ইতিহাসে এক-এক কালে এক-একটা ভাবের হাওয়া ওঠে। সেই হওয়ায় সবাই যোগ দেয়। সেই বোধবুদ্ধির রকমটাই সেই যুগের হাওয়া।
বললেন, 'আজকের যুগের হাওয়াটার কথাই ধরো। এখন মানুষ সব-কিছুর যুক্তি বিচার খোঁজে। আপ্তবাক্য হলেই মানুষ তা গ্রহণ করবে না। অর্থাৎ, বেদবিধান বলেই যে মানুষ নির্বিচারে কোন বিধান মানতে বাধ্য থাকবে, তা কিন্তু নয়। মানুষ এর পিছনে বিজ্ঞান সম্মত যুক্তি খুঁজবে।'
আরও বললেন, 'দ্যাখো না, আমি কী করি। আমি বিজ্ঞানের উপর দাঁড়িয়েই কথা বলি। যা গ্রহণ করবে, তাকে বিজ্ঞানের কষ্টিপাথরে যাচাই করেই গ্রহণ করো।'
'সত্য না হলে, তা গ্রহণীয় নয়। আর সত্যই বিজ্ঞান।' অথবা বলতে পারো, বিজ্ঞানসম্মত বলেই তা সত্য। আপ্তবাক্য তো বিজ্ঞানের গবেষণাগারের মোহর নিয়েই বেরিয়ে আসে। কিন্তু যুগের দাবি মতো তাকে আবার নতুন করে বিজ্ঞানের কষ্টি পাথরে বুঝিয়ে দিলেন বিজ্ঞানময় পরমপুরুষ।
এই সময়ে অর্থাৎ শ্রীশ্রীঠাকুরের দেওঘর-অবস্থান কালে বেশ কয়েকজন নতুন বিদূষী মহিলা তাঁর কাছে এসে কিছুদিন করে থাকেন এবং তাঁদের নানাবিধ-জ্ঞান মার্গীয় প্রশ্ন উত্থাপন করে সেগুলির উত্তর সংগ্রহ করতেন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন কুমারী শিমার, কুমারী মার্টিন, কুমারী অ্যালফ্রেক প্রভৃতি। কুমারী অ্যালফ্রেক হলেন নিউজিল্যান্ডের মেয়ে। আর হাউজারম্যানের মাকে তো আশ্রমবাসিনীই বলা চলে। ছেলের সঙ্গে তিনি নিয়মিত গুরুসঙ্গ করেন এবং আলোচনা-শ্রবণ ও প্রশ্নের মাধ্যমে নিজের জ্ঞানভাণ্ডার সমৃদ্ধ করে চলেন। ছেলেও মায়ের এই ইষ্টমুখিনতা দেখে খুব খুশি।
হাউজারম্যানের বন্ধু স্পেনসর অনেকটা ভবঘুরে মানসিকতার মানুষ। সে মাঝে মাঝেই আশ্রম থেকে বেরিয়ে যায়, ভ্রমণ করতে। ভারতের নানা তীর্থক্ষেত্র নানা নগর উপনগর পরিভ্রমণ আবার হঠাৎ সে হাজির হয় গুরুসকাশে-বেশ কিছু দিন থাকে এক-নাগাড়ে। আবার একদিন হঠাৎই বেরিয়ে যায় ভারত দর্শনে। স্পেনসর গুরুগম্ভীর এবং ভাবুক প্রকৃতির। হয়তো হাফপ্যান্ট এবং হাওয়াই চটি পরেই বেরিয়ে গেল। তবে গুরু প্রদত্ত পবিত্র ঋত্বিকদণ্ড নিতে ভুলতো না। আর হাউজারম্যান তো অতিমাত্রায় দণ্ডচেতন ছিল। যখন ঠাকুরের নির্দেশে বা প্রয়োজন বোধে তাঁর সম্মতি সাপেক্ষে দেশে যেতো, তখনও সেখানে গিয়ে যে-কদিন থাকতো, সৎসঙ্গের নিয়ত ঋত্বিককর্মী হিসেবেই সেখানে থাকতো। পুরোমাত্রায় ইষ্টবাণী প্রচার করতো, দেশবাসীকে ইষ্টভাবনায় ভাবিত করে তুলতে যত্নশীল থাকতো। এক কথায়, যাজন নিয়েই তার স্বদেশবাস কাটতো।
এই সময়ের মধ্যেকার এক কৌতূহলোদ্দীপক ঘটনা। হাউজারম্যানের বুদ্ধিমতী ইষ্টপ্রাণা মা একদিন জিজ্ঞেস করলেন, 'আচ্ছা ঠাকুর, আপনি কি সবাইকে সমানভাবে ভালোবাসেন?'
ঠাকুর প্রশ্নের ধার বুঝে হেসে উত্তর দিলেন, 'আমি কেমন ভালোবাসি-জানেন? যার পক্ষে যেমন ভালোবাসা দরকার, আমি তাকে তেমন ভালোবাসা দিই। ব্যক্তি হিসাবে এই ভালোবাসার প্রকাশ রকমারি হয়।'
মা কথাটার মানে ঠিক বুঝতে পারলেন না। তাকিয়ে রইলেন ঠাকুরের দিকে, একটু ব্যাখ্যার আশায়।
ঠাকুর বললেন, 'ধরেন, আপনার তিনটি সন্তান-সবাইকে সমান ভালোবাসেন। তাই বলে কি সবসময়ে সবাইকে একই পথ্য খাওয়াবেন। কারও যদি শারীরিক কারণে একটু অন্য রকম খাবার দরকার হয়, তবে সেটা উপেক্ষা করবেন?'
আবার ধরেন, 'একটা ছেলে একটু বেশি আদর চায় একটু তোয়াজ পেলে খুশি হয়। তাহলে সে কি তা পাবে না? আবার অন্যটি আপনার জন্যে কিছু করতে পারলে বর্তে যায় সর্বদা সেই সুযোগ খোঁজে। তাকে কি আপনি সেই সুযোগ দেবেন না?'
কে জানে, হয়তো গুরুদেব তাঁর মাতৃপ্রাণ ছেলে হাউজারম্যানের দিকেই ইঙ্গিত করলেন।
যে ডাক্তার সব রুগীকেই ভালোবাসেন, তিনি কি সব রুগীর জন্যে একই ওষুধ দেন? না, যার জন্যে যা দরকার, তাই দেন?
এবার মা বুঝলেন, গুরুদেবের সমস্নেহটা কি রকম, তাঁর সমদৃষ্টির অর্থই বা কী।
এই কথার সুযোগ নিয়ে মা বললেন, 'আপনি তো সব মানুষকে কাছে পান না, সে ক্ষেত্রে তো সকলের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে পরিচয় হচ্ছে না। তাহলে তাদের প্রতি প্রয়োজন মাফিক ভালোবাসা দেবেন কেমন করে? সে সব লোকের জন্যে তো একঢালা প্রেসক্রিপসনই এসে যাবে।'
'না, ঠিক তা নয়।' ঠাকুর বুঝাতে লাগলেন মাকে। 'ধরুন, আমেরিকায় হাউজারম্যান আছে, আপনি আছেন, আপনারা তো এই আদর্শটা চারিয়ে দিচ্ছেন। সেখানে আপনাদের মতো মানুষরাই তো আমার প্রতিনিধি। সেই জন্যেই তো আমি যোগ্য-ঋত্বিকের সংখ্যাবৃদ্ধির কথা এত করে কই।'
'আপনারা কী না পারেন? আপনারা ঢের পারেন, ঢের পারছেন, আরও অনেক পারবেন। পরমপিতা আপনাদের মতো মানুষদের সুস্থ সবল রাখুন-তাহলেও আমি সবার কাছে পৌঁছে যাবো।'
সময়টা মাঝ বয়েসী মাঘের আমেজী ঠাণ্ডা- ভালোই উপভোগ্য। সব দিক্ দিয়েই উপস্থিত সকলের মন ভরে গেল গুরুবাক্যের আশ্বাসে।
ঐ ১৩৫৪ বঙ্গাব্দের মধ্য-মাঘেরই এক দিনের কথা। পুরনো ভক্ত ডাক্তার হরিপদ সাহার কী মনে হলো, হঠাৎ প্রশ্ন করলেন ঠাকুরকে, 'রামকৃষ্ণ ঠাকুর তো অনেক গুরুকরণ করেছিলেন, তাতে কি তিনি বহুনৈষ্ঠিক হলেন না?'
'এই তেশ মারিছে! আগে রামকেষ্ট ঠাকুরকে বোঝ। তিনি বহুমুখী হবেন কোন্ দুঃখে? সেই পুকুরের চার ঘাটের কথা শোননি। শুধু চার ঘাট কেন, আরও অনেক ঘাটই করা যায়। যেখান দিয়েই নামো, ঐ একই জলে ডুব দিয়ে শীতল হতে পরবে।'
বললেন, 'রামকৃষ্ণদেব বহুকে বহু হিসেবে দেখেননি। তিনি এটাই বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, সবগুরু সব মত ও সব পথ মূলতঃ এক এবং অভিন্ন। এটা বোঝাতে গিয়েই বাহ্যতঃ ঐ নানাগুরু করেছেন। তাঁকে তো মানুষ চিনলো না। তাঁর আবার কর্ম কী? তাঁর কর্ম, সবই তো লোকশিক্ষার জন্যে।'
তিনি আপাদমস্তক পরমপুরুষ। তাঁকে মহামানব বললে পুরোটা বলা হয় না।
শ্রীঅনুকূলচন্দ্র নতুন করে শ্রীরামকৃষ্ণকে তুলে ধরেছেন মানুষের সামনে। যুগভাষ্যকার অনুকূলচন্দ্রের মুখে শুনে নাও রামকৃষ্ণদেব সম্পর্কে তাঁর সর্বাধুনিক ভাষ্য- শুনে রাখো তাঁর সুস্পষ্ট মূল্যায়নের বাণী।
যদি বলো তাঁর যন্ত্রণাদায়ক গলরোগে মৃত্যুর কথা, তো শোনো। এতটুকু কাতরোক্তি না করে নির্বিকার চিত্তে দুঃসহ যন্ত্রণা মেনে নিয়ে পঞ্চভূতের দেহ ত্যাগ করলেন তিনি। যুগে-যুগে পুরুষোত্তমগণ এই ভাবে নিঃশব্দে মৃত্যুযন্ত্রণা সহ্য করে পৃথিবী থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। জ্যোতির্ময় পরাৎপর পুরুষের এই এক অভিন্ন প্রকৃতি। মৃত্যুবরণকালে কারও প্রতি কোন অভিযোগ নেই, বেদনা ভোগের কোন লক্ষণ নেই। প্রকৃতির বিরুদ্ধেও কোন ক্ষোভ নেই।
পুরুষোত্তম চরিত্রের এই এক একান্ত স্বতন্ত্র মাপকাঠি।✅
10